হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্তে সক্ষম চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)। এ কিটের মাধ্যমে করোনা রোগী অমিক্রনে আক্রান্ত কি না তা শনাক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভাসুর মিলনায়তনে ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের রক্তের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করে মৃত্যুঝুঁকির সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ’ শীর্ষক এক যৌথ জরিপ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভাসু উপাচার্য বলেন, ‘আমরা ১০০ কিট এনেছি, যা দিয়ে অমিক্রন কি না, তা পরীক্ষা করা যাবে। অমিক্রন সন্দেহে কোনো রোগী পাওয়া গেলে চিকিৎসকেরা আমাদের এখানে নমুনা পাঠাতে পারবেন।’
এ ছাড়া করোনা নিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও নতুন নতুন গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিভাসু উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা রোগীদের শতকরা ৮৯ ভাগ রোগী আগে থেকে এক বা একাধিক রোগে ভুগছিলেন। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বেত রক্তকণিকা, সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন, ফেরেটিন ও ডি-ডাইমারের মাত্রায় মারাত্মক তারতম্য ছিল। এই উপাদানগুলোর বড় রকমের পার্থক্যেরে জন্য আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরও তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
এ সময় গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীর, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ প্রমুখ।
Discussion about this post