হার্টবিট ডেস্ক
ঢাকা সিএমএইচে অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল জহিরুল হকের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এ কিডনি স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। তার ফুপাতো ভাই মো. আব্দুর রশিদ তাকে কিডনি দান করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর-আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকার সেন্টার ফর কিডনি ডিজিস অ্যান্ড ইউরোলজি’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে ঢাকা সিএমএইচের নেফ্রোলজি ও ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম এই কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করে। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন হাসপাতালের মহাপরিচালক, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতর, কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল, কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল, ঢাকা সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট, চিফ ফিজিশিয়ান জেনারেল এবং চিফ সার্জন জেনারেল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ একটি জটিল, দূরারোগ্য ও ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার এ ধরনের রোগী সংযুক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতেও এই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এতে আরও বলা হয়, এ সব রোগীর ৮০ শতাংশেরও বেশি যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছেন। প্রতিস্থাপনই হচ্ছে কিডনি অকেজো রোগীর সর্বত্তোম চিকিৎসা। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৮টি সেন্টারের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়, যা রোগীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এ প্রেক্ষিতে আপামর জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা সিএমএইচে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে দেশে প্রথম ঢাকা সিএমএইচে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয় এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Discussion about this post