প্রফেসর লেঃ কর্নেল (অব:) ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহাব
অনেকেই আছে এমন যে লিখতে গেলে কিছুক্ষণ পর পরই হাত খুব ঘেমে যায়। তখন বার বার হাত মুছে নিতে হয়। এই সমস্যার কারণে শুধু লিখার সময়ই না, কারো সাথে হাত মিলাতে গেলেও লজ্জাজনক অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আবার অনেকের পা খুব ঘামে। মোজা পড়লেও অস্বস্তি হয় আবার মোজা না পড়লেও পা ঘামানোর কারণে পছন্দের জুতা পরতে পারেন না। পা পিচ্ছিল হয়ে যায়, গন্ধ হয় খুব। এইসব কারণ আপনাকে পরিচিত বা বন্ধু সমাজে একা করে ফেলবে। এই সমস্যার নাম ‘হাইপারহাইড্রোসিস’। সমস্যা যেমন আছে তেমনি কিছু সমাধানও আছে। জেনে নিন সমাধানগুলো এবং নিজের জীবনে কাজে লাগান।
- কারণ খুঁজে বের করুনঃ
- কি কারণে আপনার হাত পা ঘামছে সে কারণটি অজানা। তবে প্রতিকার করতে পারলে সমস্যা কমে আসবে। হতে পারে দুশ্চিন্তা, পারিবারিক অশান্তি, অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার, হরমোনজনিত সমস্যা অথবা হাতে পায়ে উলেন বা পলিস্টারের মোজা অনেক সময় ধরে পরে থাকার কারনেও আপনার হাত পা ঘামতে পারে।
- অ্যান্টি পারস্পিরেন্টঃ
- ফার্মেসি বা কসমেটিকের দোকানগুলোতে কিছু অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট পাওয়া যায় যাতে লো ডোজে অ্যালুমিনিয়াম থাকে। এইসব অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ব্যাবহার করেও এই ধরণের সমস্যা থেকে সাময়িকভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
- প্রেসক্রিপশন মেডিসিনঃ
- হাইপারহাইড্রোসিসের সমস্যা হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারপর ডাক্তার যেমন ওষুধ দিবে সেসব সময়মতো গ্রহণ করতে হবে।
- পানিতে বার বার হাত ধুয়ে নিনঃ
- পানির কলের নিচে কিছুক্ষণ ধরে হাত ধুলে ঘাম গ্রন্থি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে সাময়িকভাবে কিছুক্ষণের জন্য ঘামানো বন্ধ করা যাবে। এই পদ্ধতিতে আয়নটোফোরেসিস বলে। এটি মেশিনের সাহায্যেও করা যায়।
- বোটক্সঃ এই পদ্ধতি হচ্ছে এই ধরণের টক্সিনকে ক্ষতস্থানে পুশ করার মাধ্যমে ঘাম নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়া যায়।
- রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী মাইক্রো নীডলিং:
- এই পদ্ধতির মাধমেও চিকিৎসা করা সম্ভব। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।
- সার্জারিঃ
- এটা আসলে একটা অন্তীম উপায়। যদি কোন উপায়ই কাজ না করে তখন সার্জারি করা হয়। এতে যে স্নায়ুর স্টিমুলেশনের কারণে ঘামের সৃষ্টি হয় সেটাই বাদ দিয়ে দেয়া হয়।
হাইপারহাইড্রোসিসটাই গুরুতর রোগ নয়, হতে পারে এটা কোনো রোগের লক্ষণ! তাই এই সমস্যা দেখা দিলে হেলাফেলা না করে অতিসত্বর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন।
Discussion about this post