হার্টবিট ডেস্ক
সম্প্রতি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) একটি সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে। তবে মিউটেশন বেশি হলেও এটা কতটা মারাত্মক তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ড. স্বামীনাথন রয়টার্সকে বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ সংক্রমণশীল। সাউথ আফ্রিকায় এটি যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে ধারণা করা যায় যে, করোনার এ ভ্যারিয়েন্টই সবচেয়ে প্রভাবশালী হতে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে আতঙ্কিত না হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে বিজ্ঞানী সৌম্য বলেছেন, আমরা এক বছর আগের তুলনায় ভিন্ন একটা সময়ে আছি।
এদিকে রয়টার্সের খবরে জানা গেলো, ওমিক্রনের ভেতর ‘কমন কোল্ড’ তথা সাধারণ ফ্লু-এর কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। ক্যামব্রিজের গবেষক ভেনকি সৌন্দ্ররাজন জানালেন, ওমিক্রন নিজেকে ‘মানুষের উপযোগী’ করে গড়ে তুলেছে। যার কারণে এটি সহজে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও ফাঁকি দিতে পারছে। করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর সঙ্গে এটা একটা বড় অমিল।
সৌন্দ্ররাজন আরও জানালেন, ওমিক্রনের মধ্যে কমন কোল্ডের পাশাপাশি এইচআইভিতে দেখা যায় এমন জিনেটিক সিকোয়েন্সও দেখা গেছে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এইচআইভি রোগীর বাসও দক্ষিণ আফ্রিকাতে।
এদিকে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রায় বাদবাকি বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চললেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে এ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে এমন কিছু ব্যক্তির শরীরে, যারা কোথাও ভ্রমণই করেনি।
ওদিকে, গোটা দুনিয়া এখন ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)-এর পরিচালক ড. রোশেলে ওয়ালেনস্কি শুক্রবার জানিয়েছেন, ওমিক্রন প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে, তবে আমাদের চিন্তা বেশি এখনও ডেলটা নিয়ে। কারণ হিসেবে ড. রোশেলে সিএনএন’কে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন ৮৯ হাজার কোভিড রোগী শনাক্ত হচ্ছে। যাদের ৯৯.৯ শতাংশই ডেলটায় আক্রান্ত।
Discussion about this post