হার্টবিট ডেস্ক
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে হার্টের রোগীদের স্টেনটিং বা রিং পড়ানো কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. জালাল উদ্দিন এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ‘এতদিন শজিমেক হাসপাতালে শুধু এনজিওগ্রাম করা হলেও এনজিওপ্লাস্টি বা স্টেনটিং করা হতো না। রিং পড়ানোর কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বগুড়াসহ আশে-পাশে জেলাগুলোর হার্টের রোগীরা খুব স্বল্প খরচে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবে।’
এর আগে ৩১ আগস্ট ২০০৬ সালে বগুড়া শহরের ছিলিমপুরে শজিমেক হাসপাতালের উদ্বোধনের কয়েক মাস পর ওই হাসপাতালে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এনজিওগ্রাম চালু করা হয়। ২০০৭ সালে প্রথম হাসপাতালে সাতজন রোগীর এনজিওগ্রাম করার মাধ্যমে এনজিওগ্রাম চালু করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন এনজিওগ্রাম বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে নতুন মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে আবারও এনজিওগ্রাম চালু করা হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে আবারো বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে চালু হয় এনজিওগ্রাম।
শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগিতায় শনিবার থেকে হাসপাতালে স্টেনটিং বা রিং পড়ানো কার্যক্রম শুরু হবে। ওই হাসপাতালের ১৩ সদস্যের একটি টিম বগুড়ায় আসছেন। তারা স্টেনটিং করবেন। এরপর থেকে এখানে সপ্তাহে ২ দিন করে রিং পড়ানো হবে। এতে করে বগুড়াসহ আশে-পাশের জেলার হার্টের রোগীরা খুব স্বল্প খরচে এখানে হার্টের চিকিৎসা করাতে পারবেন।’
Discussion about this post