হার্টবিট ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ প্রজাতিকে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। নতুন এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানায় টিকাপ্রাপ্তরাই করোনার নতুন এই প্রজাতির দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
শুক্রবার এই ভেরিয়েন্টের বিষয়ে ভারতের সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তবে এ দেশে এখনও পর্যন্ত এই নয়া ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়নি বলেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
হু জানিয়েছে, নয়া ভেরিয়েন্টের ভাবগতিক বুঝতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই ভেরিয়েন্টে বিপজ্জনক মিউটেশন ঘটেছে। বস্তুত, সেই কারণেই চিহ্নিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকির সর্বোচ্চ ধাপে রাখা হল করোনার এই নয়া স্ট্রেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল এই প্রজাতির ভাইরাস।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তাতে ৫০টি মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে, যার মধ্যে তিরিশটিরও বেশি হয়েছে শুধুমাত্র স্পাইক প্রোটিনে। নতুন এই প্রজাতির করোনাভাইরাস যাঁদের আক্রমণ করেছে, তাঁদের শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ বা ‘ভাইরাল লোড’ খুব বেশি হয়েছে। নতুন প্রজাতিটির উৎস নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও এইচআইভি আক্রান্তের শরীরই সম্ভবত এই ভেরিয়েন্টের উৎস। অতীতে করোনার বিটা ভেরিয়েন্টও এক এইচআইভি রোগীর শরীরে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল।
নতুন করোনাতঙ্ক
নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২-এর নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ হাজির। নাম বি.১.১.৫২৯। একে নিয়ে ভয়ের অন্যতম কারণ, কোভিড টিকার কার্যকারিতা রুখে দিতে পারে নতুন স্ট্রেনটি।
ভাইরাসের বি.১.১.৫২৯ স্ট্রেনে অন্তত ৫০টি মিউটেশন ঘটেছে। এর মধ্যে স্পাইক প্রোটিনেই ৩০টি মিউটেশন ঘটেছে।
করোনা ভাইরাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই স্পাইক প্রোটিন। এর সাহায্যেই মানবকোষে প্রবেশ করে ভাইরাস। কোভিড টিকারও মূল নিশানা তাই স্পাইক প্রোটিন। তবে কি এর ভোলবদলে স্ট্রেনটি আরো সংক্রামক হয়ে উঠেছে? উত্তরের খোঁজ চলছে।
স্ট্রেনটির উৎস নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ধারণা, নির্দিষ্ট কোনো এক রোগীর শরীরে মিউটেশন ঘটে স্ট্রেনটি তৈরি হয়েছে। সম্ভবত, ওই রোগী এইচআইভি আক্রান্ত। এবং তিনি বিনা চিকিৎসাতেই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সপ্তাহে প্রথম চিহ্নিত হয় স্ট্রেনটি। এর পরে আশপাশের অনেক দেশেই এটি ধরা পড়েছে। টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সংক্রমিতদের শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ অস্বাভাবিক রকম বেশি।
হংকং, ইজ়রায়েলে আফ্রিকা ফেরত পর্যটকের শরীরে মিলেছে এই স্ট্রেন।
Discussion about this post