হার্টবিট ডেস্ক
এক সপ্তাহে প্রায় পাঁচশতাধিক নারী পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।এর মধ্যে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
হাসপাতালের সিটের সংখ্যার তুলনায় প্রায় চার থেকে পাঁচগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। শয্যা না থাকায় অধিকাংশ রোগীই হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা বলেন, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যাক রোগী আসছে। শয্যা না পাওয়ায় বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছি। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্বজনদের অভিযোগ, এখানে দক্ষ সেবিকা না থাকায় শিশু রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ক্যানোলা লাগানোর জন্য অনেক শিশু রোগীকে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, পানিবাহিত কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। যারা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন তাদের বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে বাসি খাবার।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়াই অনেক রোগী মেঝেতে অবস্থান করছে। তবে সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ জানান, জেলা সদর হাসপাতালেই নয়, সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে।
Discussion about this post