হার্টবিট ডেস্ক
সমস্ত হেলথ সেক্টর ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে কোভিড-১৯ মহামারি ও নতুন ইন্টার্নি ডাক্তারদের অভিনন্দন জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বেশ কিছু প্রজেক্ট আসছে। দেশের আটটি বিভাগে আটটি ক্যান্সার, কিডনি ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ একনেকে রয়েছে। সমস্ত বাংলাদেশ মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়ে যাবে। পুরো হেলথ সেক্টর আমরা ডিজিটালাইজড করব। আজকেও কেবিনেটে আলাপ হয়েছে। আমাদের উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে চারবার মিটিং হয়েছে। এটার কাজও আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। হেলথ সেক্টর ডিজিটালাইজড হলে আরও বেশি উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের আরও ৪টি নতুন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ একটি রোগ, যা আজকে নিয়ন্ত্রণের থাকলেও কালকে পরিস্থিতি আবার খারাপ হতে পারে। করোনা কিছুদিন আগে ইউরোপে পরিস্থিতি ভাল ছিল, এখন আবার খারাপ হচ্ছে। করোনায় আমরা আমাদের দেশকে ভালো রাখতে চাই। সেজন্য আপনাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
টিকাদান কর্মসূচির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৯ কোটি টিকা দিয়েছি। আমাদের দেশে বয়স অনুযায়ী যাদের টিকা প্রাপ্য, অর্থাৎ দেশের ৮০ পার্সেন্ট মানুষকে যদি টিকা দিতে হয়, এ ৮০ শতাংশের ৪০ শতাংশ মানুষকে আমরা প্রথম ডোজ টিকা ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছি এবং দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ২৫ শতাংশ জনগণ। আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আহমেদ।
Discussion about this post