হার্টবিট ডেস্ক
উন্নয়নসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড করোনাভাইরাস মহামারির আগের স্বাভাবিক অবস্থায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেহেতু কোভিড সংক্রমণের দুই বছর হয়ে গেছে। সেজন্য আমাদের একটা প্রোটোকলও ডেভেলপ হয়ে গেছে। সুতরাং সবাইকে আরেকটু এনহ্যান্স কাজ করে আমাদের ব্যাকলক যদি থাকে সেটা…ডেভেলপমেন্ট ফেইজটা আগের মতো নিয়ে যেতে হবে। শুধু ডেভেলপমেন্ট না সব ধরনের কাজকর্ম, যাতে আমাদের গ্রোথ রেটসহ সবকিছু যেন কোভিডের আগে যে রেটে ছিল সেখান থেকে আবার প্রোগ্রেস করতে পারি।’
কোন কোন খাতে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, সবাইকেই বলা হয়েছে, এমনকি যে ভালো করেছে তাকেও বলা হচ্ছে।
এ সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় দেওয়া বিধি-নিষেধ এখনও কিছু কিছু রয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, বঙ্গভবনে এবার ১৬ ডিসেম্বরের প্রোগ্রাম হচ্ছে না। প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রোগ্রাম হবে, কারণ সেখানে ফ্রি মিক্সিং হবে না। ফ্রি মিক্সিং টাইপের ম্যাসিং লেভেলের গুলোকে ডিসকারেজ করা হচ্ছে।
‘আমরা ইতোমধ্যে ৩২টি জেলার সঙ্গে মিটিং করে ফেলেছি। তাদের বলেছি, আত্মতুষ্টি ও বিশ্রামের কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে মনোযোগী থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আল্লাহ না করুক আবার যদি ফিরে আসে। কারণ গতবার আমরা ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ বাড়তে দেখলাম। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা আছে’, যোগ করেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে ৯ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
Discussion about this post