হার্টবিট ডেস্ক
টানা ১৮ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আকিব হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ছাড়পত্র নিয়ে আকিবের পরিবারের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
চমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার জানিয়েছেন, আকিব সুস্থ থাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লার স্কুলশিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে মাহাদী জে আকিব (২১) ছোট। তিনি চমেক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, মাহাদি এখন বেশ সুস্থ। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সে হাঁটাচলা করছে। মাথা যে অংশে আঘাত পেয়েছে সেখানে চামড়ার মতো আবরণ তৈরি হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর তার মাথার হাড়ের অংশটি প্রতিস্থাপন করা হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেডিকেল বোর্ড আকিব সুস্থ হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে। তাঁর বাবা তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। বাকি চিকিৎসা আমরা পরামর্শ দিয়ে দিয়েছি। দেড় মাস পরে আরেকটা ছোট অপারেশন লাগবে। সেটা আমরা করব। আপাতত বাড়িতে থাকবে।’
এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনার সময় মাথায় গুরুতর আঘাত পান কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। ওইদিনই তার মাথায় অপারেশন করা হয়।
চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, আকিবকে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাবার সঙ্গে কুমিল্লার বাড়িতে চলে গেছেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসকের পর্যপেক্ষণে থাকবেন।
তিনি বলেন, আকিবের মাথার হাড় তাজা থাকার জন্য এখনও পেটে রাখা হয়েছে। একমাস পর তাকে আবার চট্টগ্রামে ডাক্তার দেখানো হবে। এরপর চিকিৎসকরা তার অপারেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পেট থেকে মাথায় হাড় লাগাতে আরও প্রায় দুই মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক নেতা।
Discussion about this post