হার্টবিট ডেস্ক
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রশিক্ষিত জনবল নিশ্চিতে প্রয়োজনে রেসিডেন্সি কোর্সে আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেল্থ (বিএসিএএমএইচ) আয়োজিত এক কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যে প্রশিক্ষিত জনবল বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে রেসিডেন্সি কোর্সে সাইকিয়াট্রি বিভাগে আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া কোনো সুস্বাস্থ্য অকল্পনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলেই কেবল স্বাস্থ্য পূর্ণতা পেতে পারে।
এ সময় মানসিক স্বাস্থ্যে গবেষণার পরিমাণ বাড়ানোর ওপর জোর দেন বিএসএমএমইউ ভাইস চ্যান্সেলর। বলেন, গবেষণার মাধ্যমে যৌন শিক্ষা ও মোবাইল আসক্তিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণকে অবগত করতে হবে।
‘পরিবর্তিত বিশ্বে চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মানসিক স্বাস্থ্য’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করুন, এই খাতের উন্নতির জন্য কোন বিষয়গুলা বাস্তবায়ন জরুরি। সেই আলোকে আমরা সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করবো।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেল্থের (বিএসিএএমএইচ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর এম এস আই মল্লিক বলেন, শিশু কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। সবাই নিজেদের কাজ সম্পর্কে অবগত হলে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। এসোসিয়েশনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশে প্রায় ১৪ শতাংশ শিশু কিশোর নানাবিধ মানসিক রোগে ভুগছে। কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। আমাদের দেশেও যথাসময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
Discussion about this post