হার্টবিট ডেস্ক
চমেক সংঘর্ষে আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন চমেকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি জে আকিবের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। প্রায় দুই সপ্তাহ পর তিনি একা একাই দাঁড়াতে পারছেন, পারছেন হাঁটতে। তা ছাড়া খেতেও পারছেন নিত্য খাবারদাবার। তার অস্ত্রোপচার করা মাথার সেলাই খুলে ফেলা হয়েছে।
আকিবের মাথা থেঁতলে সেখানকার হাড় ভেঙে গিয়েছিল। অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে, অপারেশন করে হাড় সরিয়ে পেটের নিচে রেখে পুরো মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। তার মাথার সাদা ব্যান্ডেজের ওপর চিকিৎসকরা তখন লিখে রেখেছিলেন, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ ঘটনাটি ব্যাপক আলোড়ন তোলে সারাদেশে।
আকিবের মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকা চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এসএম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘আকিবের দ্রুত উন্নতি আমাদের আশাবাদী করে তুলছে। ওর ব্রেনে গুরুতর আঘাত লেগেছে। পর্দার ওপরে ও নিচে ইনজুরি হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশই মারা যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের তাৎক্ষণিক দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আকিব এখন ভালো ও শঙ্কামুক্ত আছে। এখনও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকলেও তাকে শিগগির কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।’
ছেলের শারীরিক উন্নতির ঘটনায় খানিকটা আশ্বস্ত আকিবের বাবা স্কুলশিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। তার অনুভূতি আগের চেয়ে ভালো কাজ করছে। এ জন্য চিকিৎসকসহ সবার কাছে আমরা ঋণী। ডাক্তার বানাতে পাঠিয়ে আমার ছেলের যে করুণ পরিণতি ঘটেছে, তা যেন আর কারও না হয়। আকিবের এমন করুণ অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন তিনি।
Discussion about this post