হার্টবিট ডেস্ক
অটোমেশন সিস্টেম বাস্তবায়নের ফলে প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান। সরাকারের ‘শেয়ারড হেল্থ রেকর্ড’ প্রকল্পের মাধ্যমে এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) মানিকগঞ্জের সিংগাইর এবং হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালযয়ে ‘শেয়ারড হেল্থ রেকর্ড’ প্রকল্পের হাসপাতাল অটোমেশন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘শেয়ারড হেল্থ রেকর্ড প্রকল্পের মাধ্যমে এমন কিছু কাজ শুরু হয়েছে যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এটি এমন একটা অটোমেশন পদ্ধতি যা বাস্তবায়নে প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে। হাসপাতালগুলো অটোমেশন পদ্ধতি চালু হওয়ার ফলে প্রতিটি নাগরিক হাসপাতালে সেবা নেওয়ার সময় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পেশেন্ট আইডেন্টিফিকেশন (পিআইডি) নাম্বার পাবেন। ফলে পরবর্তীতে যে কোন উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালে সেবা নিতে আর কোন রোগীকে পুরাতন প্রেসক্রিপশন সঙ্গে নিতে হবে না বরং প্রতিটি ভিজিটের সময় শুধুমাত্র পিআইডি স্ক্যান করে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন,‘রোগীর চিকিৎসা শুরু থেকে ছাড়পত্র হওয়া পর্যন্ত সকল তথ্য লিপিবন্ধ থাকবে এই অটোমেশনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে ক্রিস্টাল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড ১০টি সদর হাসপাতাল ও ৪০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে অটোমেশন সিস্টেম চালু করেছে।’
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারহানা কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভাগের যুগ্মসচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক (এমআইএস) ডা. শাহ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
Discussion about this post