হার্টবিট ডেস্ক
ডিম ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। আর শীতকাল পড়লেই যেন ডিম খাওয়া আরও বেড়ে যায়। সেদ্ধ ডিম আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। ডিম ভালোবাসার নেপথ্যে শুধু স্বাদই নয়, রয়েছে পুষ্টির কারণও। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন ১-২ টি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
* যাদের ডিমে অ্যালার্জি, তারা ছাড়া সবাই ডিম খেতে পারেন অনায়াসে।
* অনেকেই বলেন- লাল ডিম ভাল, সাদা ডিমে কম পুষ্টি। এই ধারণা ভুল। আসলে, লাল ডিম ও সাদা ডিমে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণের কোনো পার্থক্য নেই।
* অনেকেই কাঁচা ডিম খান। যাতে উপকার তো নয়ই, বরং বিপদ হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়।
* কাঁচা ডিম ভালোমন্দ না বুঝে খেয়ে ফেলে ভয়ংকর পেটের অসুখ নিয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হতে পারে। তাই রান্না করা ডিম খান।
* সেদ্ধ করে কিংবা হাল্কা তেলে অল্প ভেজে ডিম খেলে শরীরের অনেক বেশি উপকার হয়। শরীর সচেতন মানুষ কখনোই না রান্না করে ডিম খাবেন না।
* ডিমের সব প্রোটিন ভালোভাবে পায় না শরীর, যদি তা রান্না না করা হয়। তাই অল্প হলেও ভেজে নিন। মনে রাখবেন, ডিম অনেকে ভাপিয়ে নিয়ে খান। সেটাও খুব উপকারী নয়। পুরো সেদ্ধ করে তবেই খান।
* ডিম যদি ফ্রিজে না রাখেন, তা হলে সিদ্ধ করার অন্তত ২ ঘণ্টার মধ্যেই খেয়ে ফেলুন।
* খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখবেন না।
* সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে ৩-৪ দিন ভালো থাকে।
* শিশুদের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন ডিম। তবে কয়টা ডিম খাওয়াবেন, কীভাবে খাওয়াবেন, তা চিকিৎসকের পরামর্শে করুন।
Discussion about this post