হার্টবিট ডেস্ক
ভেজালমুক্ত ও মানসম্পন্ন ওষুধের নিশ্চয়তা এবং মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে নতুন ওষুধ নীতিমালা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নতুন একটি ওষুধ কোম্পানি ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়নি। গ্রাম পর্যায়েও এই ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ওষুধ দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করেও বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর আয় করছে।
বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই ওষুধ রপ্তানি করে গত ছয় বছরে ৫ বিলিয়ন আয় থেকে এখন ৩১ বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেওয়া সম্বব হচ্ছে দেশের ওষুধ দিয়েই। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পর দেশের অন্যতম একটি বড় আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যেনো কোনো ভেজাল ওষুধ না থাকে এবং মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী হয় তার জন্য আমরা একটি নতুন ওষুধ নীতিমালা করতে যাচ্ছি। এতে করে দেশের বাজারে অকারণে কেউ আর মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবে না।’
এ সময় আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে অন্তত ১২ কোটি ডোজ করোনার ভ্যক্সিন দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে দেশে করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নামানো সম্ভব হবে।
দেশে ভ্যাক্সিনের কোন ঘাটতি নেই জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, হাতে এক কোটির উপরে ভ্যাক্সিন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকেই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।
আরও ২১ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন কিনে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখান থেকে এ মাসে অন্তত তিন কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন আসবে। আগামী মাসেও একই হারে আসার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই অন্তত সাত কোটি ডোজ ভ্যক্সিন দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন দেয়া সম্ভব হবে। সেটি করা গেলে করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নামানো সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন প্রতিষ্ঠিত ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। এ সময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি, কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান, ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
Discussion about this post