হার্টবিট ডেস্ক
গর্ভাবস্থায় সব নারীই মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। বিশেষ করে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়া কিংবা কখনো পেটে ব্যথাসহ মেজাজ পরিবর্তন এসব সমস্যা সব সময়ই দেখা দেয়। তাই এ সময় গর্ভবতীদের উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
জানলে অবাক হবে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ। এসব খাবার খেলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে কাটিয়ে ওঠা যায়। তেমনই এক খাবার হলো টকদই। গর্ভবতীদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত এক বাটি টকদই পাতে রাখা।
টকদইতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। একইসঙ্গে খাবার হজমে সহায়তা করে। এটি শরীরও ঠান্ডা রাখে। এই খাবারে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে। যা গর্ভাবতীর জন্য খুবই দরকারি।
জেনে নিন যেসব কারণে গর্ভবতীদের উচিত এই খাবারটি খাওয়া-
>> টকদইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
>> এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যা গর্ভবতী নারীর প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। একইসঙ্গে ভ্রূণের হাড় ও দাঁত বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয়।
>> গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। এতে মা ও শিশু উভয়ের ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। টকদই খেলে শরীরের রক্তচাপ কমে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসে।
>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে টকদই। এতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া পেটের যাবতীয় সমস্যা ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
>> পেশীর জন্যও খুব উপকারী দই। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য, যা মাংস পেশীর বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পেশির সংকোচনে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এ কারণে টকদই পেশির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকালী।
>> গর্ভাবস্থায় নারীদের ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হয়। এ সময় নিয়মিত টকদই খেলে মানসিক প্রশান্তি মেলে।
>> গর্ভাবস্থায় হরমোনগত পরিবর্তন ও ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকের অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়। দইয়ে আছে ভিটামিন ই, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও পিগমেন্টেশনও কমায়।
>> গর্ভাবস্থায় অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। তাই প্রেগনেন্সির শুরু থেকে টকদই খাওয়া শুরু করলেই আর ওজন বাড়বে না। টকদই ওজন কমাতে সহায়তা করে এ কথা সবারই জানা। টকদই স্ট্রেস হরমোন কার্টিসল বাড়তে বাধা দেয়, যার ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রোধ হয়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
Discussion about this post