হার্টবিট ডেস্ক
শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে নগরের জিইসি মোড়ের দি পেনিনসুলা হোটেলে আয়োজিত ‘মাল্টি-সেক্টরাল নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশনে সহায়তাকরণ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অসচেতনতার কারণে দেশের অধিকাংশ শিশু কিশোর অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ শিশু ও কিশোর। তাদের বেশির ভাগই অপুষ্টি জনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। সরকার সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুষ্টি কেন্দ্র স্থাপন করে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দৃশ্যমান পরিবর্তন আনছে। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি কার্যক্রম চালাতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদেরকেও পুষ্টি সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. সেব্রিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা সকলের দায়িত্ব। খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টি ভুগে বিকলাঙ্গসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের আউটব্রেক ইনভেষ্টিগেশন অফিসার (আইডিসিআর) ডা. মুশতারী মমতাজ মিমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. নন্দলাল সুত্রধর ও ডিপিএম ডা. মাহফুজা হক ডালিয়া।
কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবদুর রব, বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আমিন প্রমুখ।
Discussion about this post