হার্টবিট ডেস্ক
সকালে উঠেই অনেককে দৌড়াতে হয় কাজের পেছনে। যে কারণে দিনে আর সত্যিকার অর্থে দৌড়ানোর সুযোগ পান না অনেকে। তখন তারা ভাবেন, ঘুমানোর আগে বেশি করে ব্যায়াম করে নেওয়া যাবে। এতে শরীর দুর্বল হবে, ঘুমও হবে ভালো। কিন্তু এমনটা করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাড়বে এপিনেফ্রিন
ব্যায়াম বা দৌড়ানো শুরু করলে অ্যাড্রিনাল গ্লান্ড সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখন নিঃসরণ ঘটে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের। এর আরেক নাম এপিনেফ্রিন। যা আমাদের হৃৎপিণ্ডকে ছোটাতে শুরু করে টপ গিয়ারে। স্বভাবতই বেড়ে যায় হৃৎস্পন্দন। এতে পেশীগুলোতে অক্সিজেনের মাত্রা ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। আর এসব যতই ভালো হোক না কেন, ঠিক শোবার আগে এমন ব্যায়াম কিন্তু ঘুমের বারোটা বাজাবে। আবার রাতে যারা জিমে যান, তাদের শরীরেও ঘুমের হরমোন মেলাটনিন তৈরি হতে দেরি হবে। জিমের উজ্জ্বল আলোও এক্ষেত্রে ঘুম তাড়াতে ভূমিকা রাখে।
নার্ভাস সিস্টেম সজাগ
একটু খাটাখাটনির ব্যায়াম করলেই আমাদের নার্ভাস সিস্টেম তথা স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক হতেও সময় নেয়। আর বেশি হৃৎস্পন্দন কখনই আপনাকে ঘুমাতে দেবে না। এ ধরনের ব্যায়ামের তালিকায় আছে সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, ভারোত্তোলন।
পেশীর গঠনে বাধা
ভারী ব্যায়াম করলে পেশীর টিস্যু ভাঙতে থাকে। বিশ্রামের সময় সেটা আবার নতুন করে তৈরিও হয়। কিন্তু ঘুমানোর আগেই যদি পেশীর ওপর ঝড় বয়ে যায় তবে সেটা সারানোর মতো সময় পায় না আমাদের শরীর।
যা করতে হবে
যদি সন্ধ্যা বা রাতে ব্যায়াম করতেই হবে তবে মেনে চলতে হবে তিনটি নিয়ম
- ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে ব্যায়াম সারতে হবে।
- ব্যায়ামের পর হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিলে মাংসপেশী শিথিল হবে।
- রিলাক্সেশন এফেক্ট তৈরির জন্য গোসলের পানিতে অল্প পরিমাণে এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। আবার চাইলে শোবার ঘরেও বিছানায় স্প্রে করতে পারেন। এতেও স্নায়ু শিথিল হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post