হার্টবিট ডেস্ক
ধনে পাতা দিয়ে রান্না করা খাবার অনেকেই পছন্দ করেন। তাদের প্রতিটা বেলার খাবারের তরকারিতে ধনে পাতা দেওয়া না থাকলে যেন খাবার খেয়ে তৃপ্তি পান না। এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন, ধনেপাতা শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতে কাজে লাগে। কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতেও ধনে পাতা অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ।
লিভার বা যকৃতকে সুস্থ রাখতে ধনেপাতা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভেষজ উপাদান। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ধনেপাতা খেতে পারলে লিভারের একাধিক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, ধনেপাতা প্রায় সকলেই খান। এর গুণেরও কিন্তু শেষ নেই। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই সবজি এনজাইমগুলি সক্রিয় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার শরীরকে রক্তে শর্করাকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।
ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় ধনেপাতা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভেষজ উপাদান। ধনেপাতা দাঁতের ফাঁকে ব্যাকটেরিয়াকে বাসা বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে সুস্থ থাকে দাঁত ও মাড়ি।
ধনেপাতায় থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা রোধে সাহায্য করে। ধনেপাতার মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকায় তা শরীরে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন চর্মরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ধনেপাতা রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে আর রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ধনেপাতা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, যার কারণে পাচনতন্ত্র আরও ভালো ভাবে কাজ করে। ধনিয়া জল শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। এই কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। চিকিত্সাশাস্ত্রে ধনে বীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিডনি সুস্থ রাখে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, বি-ক্যারোটিনয়েডস, পলিফেনলসের মতো উপকারী ভেষজ গুণ।
ধনে বীজ ও পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। ধনের জল পান করলে চুল মজবুত হয়, যার কারণে তাদের ভাঙ্গন কম হয়।
ধনিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, সি এবং এ পাওয়া যায়। যা চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। অবশ্যই, ধনেপাতা গার্নিশিং করার কাজে ব্যবহার করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে খুব দরকারী।
ধনে বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা হজমক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই তেল প্রয়োগ করলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, অস্বস্তি এবং ব্যথায় উল্লেখযোগ্য উপশম পাওয়া যায়।
Discussion about this post