হার্টবিট ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
তবে এ দিন অন্য কোনো স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। আগামীকাল মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজেসহ রাজধানীর আরও সাতটি স্কুলে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে।
টিকার অন্য কেন্দ্রগুলো হলো— হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্কুলগুলো নিজেদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিন দেবে। প্রতিটা কেন্দ্রে ২৫টি বুথ স্থাপন করা হবে।
ডা. শামসুল হক বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে মানিকগঞ্জে ১২০ শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তারা সবাই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ফাইজারের এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণে আলট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনের জন্য প্রয়োজন হয় থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আলট্রা ফ্রিজার ভ্যান। যেসব কলেজের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে সাজানো হয়েছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ২০টি কক্ষ। প্রতিষ্ঠানটিকেও পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি উদ্বোধনের জন্য।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ৭০ লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী নভেম্বরে আরও ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে আসার সম্ভাবনা আছে।
Discussion about this post