হার্টবিট ডেস্ক
দেশে শিশু হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনের তুলনায় শিশু হৃদরোগ সেন্টার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। আর তাই সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রয়োজন সরকারের আরও বেশি পৃষ্ঠপোষকতা।
মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হার্ট । পেশিবহুল ত্রিকোণাকৃতির এই অঙ্গটি সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারাদেহে রক্ত সঞ্চালনের কাজটি করে থাকে। যদিও নানা কারণে একজন মানুষ ত্রুটিপূর্ণ হৃদযন্ত্র নিয়ে জন্মাতে পারেন। আবার বয়সের যে কোনো পর্যায়ে পড়তে পারেন হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যায়।
অনেক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার না করে সম্ভব হয় না রোগমুক্তি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। এক বছর দুই মাস বয়সী মুস্তাকের সাত দিন আগে সম্পন্ন হয় ওপেন হার্ট সার্জারি। কিন্তু মায়ের সঙ্গে মুস্তাকের দুষ্টুমি দেখে বোঝার উপায় কতোটা ধকল গিয়েছে ছোট্ট ওই শরীরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বে হৃদরোগ নিয়ে জন্মানো শিশুর শতকরা ১৫ ভাগ ভারতে, ১০ ভাগ শ্রীলঙ্কা, ৬ ভাগ মিয়ানমার, ৬ ভাগ বাংলাদেশ এবং বাকি ৬৩ ভাগ অবশিষ্ট দেশসমূহে অবস্থিত। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, দেশে শিশু হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু নীল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট অথবা দুধ পান করতে গিয়ে হাঁপিয়ে গেলে নিতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ।
একটা সময় শিশু হৃদরোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশের অবস্থান খুব নাজুক থাকলেও বর্তমানে এগিয়েছে অনেকদূর। ওপেন হার্ট সার্জারিসহ আধুনিক সব চিকিৎসা হচ্ছে দেশেই।
রোগীর তুলনায় হৃদরোগ সেন্টার ও চিকিৎসক অপ্রতুল জানিয়ে সরকারকে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ চিকিৎসকদের।
Discussion about this post