হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি আকিবের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার জানিয়েছে, আকিবের হাড় ও ব্রেইনে মারাত্মক জখম হয়েছে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার পর মুখে খাবার নিচ্ছে আকিব। তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছে চমেকের নিউরোসার্জন বিভাগ।
এনেসথেসিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. রঞ্জন কুমার নাথ বলেন, ‘আকিবকে আমরা ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে ভেন্টিলেটরে ছিল। গতকাল আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করি। সেখানে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকেরা ছিলেন। আমরা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখি যে, তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে উইথড্র করতে পারব। আমরা গতকাল তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে উইথড্র করি। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। আজ সকালে আমাদের কয়েকটি বিভাগের প্রধানসহ পরিচালক ও প্রিন্সিপাল মহোদয় আকিবকে দেখেন। এরপর তাঁর মুখে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আপাতত সে ভালো আছে বলে দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, ভালো একটা রেজাল্ট আমরা পাব। এখন আমাদের মেইন চ্যালেঞ্জ হলো ইনফেকশন। তাই বলব, যারা তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী, তাদের আইসিইউতে আসার দরকার নেই।’
এদিকে, এ সংঘর্ষের ঘটনার পরই চমেক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। চমেক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘যেহেতু এখন আকিব ভালো আছে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে হয়তো আমরা কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেব।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আজ সকালে আমরা আকিবকে দেখে এসেছি। ও ভালো আছে, ওর জ্ঞান সম্পূর্ণ ফিরে এসেছে।’
এদিকে, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই মেডিকেল শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হাসান সীমান্ত ও রক্তিম দেকে কারাগারের গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার চিঠি পুলিশের হাতে না পৌঁছানোয় কাজ শুরু করা হয়নি। এর আগে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতা তৌফিকুর রহমান। ঘটনার প্রতিবাদে চমেক ক্যাম্পাসে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগের একটি অংশ।
চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আহত তিন ছাত্রের মধ্যে মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম শঙ্কামুক্ত।
Discussion about this post