হার্টবিট ডেস্ক
ডিমকে প্রোটিনের সেরা উৎস বলে মনে করা হয় ৷ তাছাড়া পুষ্টির দিক দিয়ে ডিমকে বলা হয় পাওয়ারহাউস। এ ছাড়াও ডিমের বহুল প্রচলনের অন্যতম বড় কারণ হল এটি নানাভাবে খাওয়া যায়৷ সিদ্ধ, অমলেট, স্ক্র্যাম্বলড বা ডিম ভাজা, রান্না করা সব রকমভাবেই এটি অতুলনীয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, সিদ্ধ ডিমে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকায় ওজনবৃদ্ধির ঝুঁকি বেশি নেই৷ ডিমের কুসুমে প্রচুর ভিটামিন ডি আছে৷ যার ফলে সর্দিকাশি এবং ফ্লু থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে৷ তাছাড়া নিয়মিত ডিমসিদ্ধ খেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। ত্বক, চোখ ও চুলের জন্যও ডিম উপকারী৷
একটি সিদ্ধ ডিম থেকে ৭৭ ক্যালরি পাওয়া যায়৷ তাছাড়া ডিমে আছে দশমিক ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস, ১ দশমিক ৬ গ্রাম স্যাচিওরেটেড ফ্যাট, ৫ দশমিক ৩ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম মনোস্যাচিওরেটেড ফ্যাট, ৬ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন, ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল । এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-৫, সেলেনিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিকর উপাদানও পাওয়া যায়৷ শীতকালের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত থাকার জন্য ডিম আদর্শ ৷
খাদ্যতালিকায় সিদ্ধ ডিম থাকলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য উপকারী৷ এতে থাকা কোলাইন রাসায়নিক স্মৃতিশক্তি এবং স্নায়ুতন্ত্রকে উজ্জীবিত করে৷ উজ্জ্বল দৃষ্টিশক্তির জন্য ডিমে থাকা ভিটামিন এ কার্যকর৷
২. একটি ডিমে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন আছে৷ ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
৩. ডিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে৷ এ কারণে ডিম খেলে ক্লান্তি দূর হয়। ডিমের কুসুমের জন্য প্রোটিনের অভাব পূর্ণ হয় ৷
৪. দৈনিক ডিমসিদ্ধ খেলে শরীর মজবুত হয়৷ ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ৷
Discussion about this post