হার্টবিট ডেস্ক
ধূমপান ও পরিবেশ দূষণের কারণে দিনকে দিন বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১২.৫% মানুষ সিওপিডি বা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের জটিলতায় ভোগেন।
পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও নিয়মিত চিকিৎসায় শ্বাসের এই কষ্ট অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দূষণ রোধের পাশাপাশি ধূমপানের মতো অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
করোনা ভাইরাসে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে যাচ্ছে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে না পারার কষ্ট কতটা নির্মম।
কিন্তু করোনা ছাড়াও বহু মানুষ শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানি রোগে ভুক্তভোগী। তাদের জন্য কষ্টটা সারা বছরের। পরিবেশের ধুলাবালি, ধূমপানের অভ্যাস, দীর্ঘস্থায়ী কাশী, খাবারে এলার্জি কিংবা শীত বা ঠাণ্ডায় ফুসফুসের প্রদাহ নানা কারণে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি হতে পারে।
সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশী। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১২ ভাগেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।
সিওপিডি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা থেকে একেবারে মুক্তি মিলবে না। কিন্তু চিকিৎসকদের নিয়মিত পরামর্শ আর অভ্যাসগত পরিবর্তন অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে সিওপিডির আক্রমণ।
করোনার কারণে যে মাস্কের অভ্যাস গড়ে তোলা গেছে শুষ্ক মৌসুমে মাস্কের এই অভ্যাস ধরে রাখা গেলে শ্বাসকষ্ট আর হাঁপানির মতো রোগ থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে মত চিকিৎসকদের।
Discussion about this post