হার্টবিট ডেস্ক
চোখ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের আলো নিভে গেলে পুরো জীবনটাই হয়ে যাবে অন্ধকার। তাই চোখের যত্ন নিতে হবে।
অথচ, প্রতিদিনের কাজের চাপে আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান চোখের যত্ন নিতে ভুলে যাই। কিন্তু লাইফস্টাইলে বা অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন নিয়ে আসলে চোখ সুস্থ থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব।
ঠান্ডা পানির ঝাপটা নেওয়া
আমাদের প্রত্যেককেই কোনো না কোনো কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দিকে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়। এছাড়া, আমরা সারাদিনে অনেকক্ষণ টিভিতে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখি। তার জন্যও তাকিয়ে থাকতে হয় টিভি স্ক্রিনের দিকে। এসব কিছুর ফলে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখের। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, টানা কাজের মাঝে কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে অন্তত ২০ মিনিট অন্তর চোখ সরিয়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।
সানগ্লাস ব্যবহার
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চোখকে রক্ষা করতে চশমা বা সানগ্লাস পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রোদে বের হলে ইউভি প্রোটেকশনযুক্ত সানগ্লাস ব্যবহার করুন। যাতে সূর্যের প্রখর তাপ চোখে লাগতে না পারে।
সাকসবজি
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর শাকসবজি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সবুজ শাকসবজি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও প্রতিদিন টাটকা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকানো
সকালে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখ ভালো থাকে। এমন কথা আমরা ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের কাছে শুনে থাকি। চোখ সুস্থ রাখতে বয়সকাল পর্যন্ত আমাদের এই অভ্যাস জারি রাখা প্রয়োজন।
পরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ করা
চোখের চাপ কমাতে আপনার হাতই যথেষ্ট! তবে আগে হাত দুটি খুব ভালো করে ঘষে গরম করে নিন। এবার সেই গরম তালুর অংশ চোখের ওপর রাখুন। বড় শ্বাস নিন ও নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। ঘুমের সমস্যা কমবে এই উপায়ে। তবে সবার আগে হাতে পরিষ্কার করে নেবেন।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর ধূমপান। নিয়মিত ধূমপানের ফলে দৃষ্টিশক্তি এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে তা সমাধানের আর কোনো রাস্তা থাকে না।
চেকআপ করা
চোখ ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চোখের চেকআপ করানো দরকার। যাতে অল্প কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়। কারণ চোখের এমন বহু সমস্যা আছে যেগুলো আগে থেকে বোঝা যায় না। সমস্যা ঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসায় সুবিধা হয়।
সূত্র: এবিপিলাইভ
Discussion about this post