হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম নগরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) শনিবার সকালে নগরীর কাজির দেউরি সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. এ.এম পারভেজ রহীম।
এসময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, কাজির দেউরি সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তপতী চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সম্পদ দে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়েরস্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা প্রবীর মিত্র এতে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, এবার জেলার ১৪ উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলে মোট ৫ হাজার ৬৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয় বহির্ভূত ৫-১৬ বছর বয়সী মোট ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মোট ১ হাজার ২৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয় বহির্ভূত মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী চলমান থাকবে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী। ঐ সময়ে জেলা প্রত্যেক উপজেলা ও মহানগরের প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় বহির্ভূত সকল শিশুকে ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে এক ডোজ কৃমিনাশক ট্যাবলেট “মেবেন্ডাজল-৫০০ মিঃ গ্রাম” খাওয়ানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ৫-১৬ বছর বয়সী সকল শিশুর কৃমি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি কৃমি রোগের মত সংক্রামক রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এ কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য। আমাদের দেশে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এখনো স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করেন না। তারা মলত্যাগের জন্য খোলা জায়গাকেই বেছে নেন। খাবার আগে বা পরে, মলত্যাগের পর ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকের মধ্যে নেই। এছাড়া অপরিস্কার, সংক্রমিত খাবার, শাকসব্জি ও অবিশুদ্ধ সংক্রমিত পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। অপরিচ্ছন্ন ও অসচেতনতাকে কৃমির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
Discussion about this post