হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনার সংক্রমণ কমে এলেও অন্য দেশ থেকে দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বন্দরে (বিমান, স্থল, সমুদ্র ও রেলওয়ে স্টেশন) বিদেশফেরত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। এর কয়েক মাস পরই ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিদেশে থেকে বিভিন্ন বন্দরে আসা যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং (হেলথ কার্ড পূরণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও জ্বর পরিমাপ ইত্যাদি) শুরু হয়।যা এখনো চলমান রয়েছে।
ওই সময় থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর, স্থল, সমুদ্র ও রেলওয়ে স্টেশনে সর্বমোট ২৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮০ জনের হেলথ স্ক্রিনিং হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৭১১ জন, স্থলবন্দরে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ১১৯ জন, সমুদ্রবন্দরে এক লাখ ১০ হাজার ৭২১ জন ও রেলওয়ে স্টেশনে সাত হাজার ২৯ জনের হেলথ স্ক্রিনিং হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে ছয় হাজার ২২৫ জন, স্থল বন্দরে এক হাজার ২৭ জন এবং সমুদ্রবন্দরে এক হাজার ২৭ জনের হেলথ স্ক্রিনিং হয়।
হেলথ স্ক্রিনিং শেষে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইন কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
মাস দেড়েক আগেও বিপুল সংখ্যক বিদেশফেরত যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়ে দেশে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্ক জানায়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪০টি ফ্লাইটে পাঁচ হাজার ৮৪৯ জন যাত্রী আসেন। তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post