হার্টবিট ডেস্ক
উজ্জ্বল সবুজ রঙের দারুণ সুস্বাদু বাদামটির নাম হলো পেস্তা। দামটা বেশ চড়া হলেও বিশেষ উৎসবের পায়েস, সেমাই , পোলাওতে পেস্তার দেখা মেলেই। যারা পেস্তা বাদাম খান না, তাঁরাও কিন্তু চেনেন পেস্তা ফ্লেভারের আইসক্রিম। সব মিলিয়ে সুস্বাদু এই খাবারটির সাথে আমাদের সম্পর্ক কম দিনের নয়। পেস্তা বাদাম তো খাওয়া হয় প্রায় সবারই, কিন্তু জানা হয়না এর গুণাবলী নিয়ে।
পেস্তা বাদামের গুণাগুণ
১.পেস্তাবাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ফলে পেস্তা বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে কার্যকর।
২. প্রোটিনের একটা চমৎকার উৎস হচ্ছে পেস্তা।
৩. ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়ামের দারুণ উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম। এদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ পণ্য বাদামের চাইতে অনেকটাই কম।
৪. ডায়বেটিসে যারা আক্রান্ত, তাঁদের জন্য পেস্তা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর তেল বিশেষভাবে উপকারী।
৫. প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।
৬. পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬।
৭. যারা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল নয়, এধরনের ডায়বেটিসে যারা আক্রান্ত, পেস্তা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর তেল তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
৮. পেস্তাবাদামে লুটেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বয়সের কারণে সৃষ্ট নানা শারীরিক সমস্যা যেমন মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯. অন্য সকম বাদামের চাইতে পেস্তায় রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল।
এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১০. দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যায় পেস্তাবাদাম বেশ উপকারী। পেস্তা বাদাম রক্ত শুদ্ধ করে।
কীভাবে খাবেন
১. রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আগের দিন রাতে দুধে অথবা পানিতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খান।
২. খালি পেটে খেলে বাদামের পুষ্টিগুণ শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হবে। দৈনিক ৬/৭ টা বাদাম খেলেই যথেষ্ট।
৩. লবণ দিয়ে ভাজা বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত করা বাদাম খাবেন না।
৪. বাদামের ওপরের পাতলা খোসাটা ছাড়িয়ে খান। কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারলেই সবচাইতে ভালো। নাহলে ক্ষীর বা মিষ্টি কোন খাবারের সাথে খান। বেটে নিয়ে দুধে মিশিয়েও খেতে পারেন। তথ্য সূত্র- হেলথ ডাইজেট, এজেড
Discussion about this post