হার্টবিট ডেস্ক
মস্তিষ্কে মাংসের অথবা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াকে ব্রেন (মস্তিষ্ক) টিউমার বলা হয়। যখন মাথায় এই টিউমার বৃদ্ধি পায় তখন মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সঠিক সময়ে ব্রেন টিউমার চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে আগে জানা উচিত ব্রেন টিউমার যে কারণে হয়, এটি কী এবং এর লক্ষণগুলো কী কী।
ব্রেন টিউমার যে কারণে হয়:
ব্রেন টিউমার বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। ব্রেন টিউমার তখনি হয় যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলির ডিএনএ-তে কোনো ত্রুটি থাকে। শরীরের কোষগুলো ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায়। যার পরিবর্তে অন্য কোষ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়ে যায় তবে দেখা যায় পুরনো কোষগুলো সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয় না। যার ফলে এই কোষগুলো জমাট বেঁধে টিউমারের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাবা, মা বা আত্মীয় কারো ব্রেন টিউমার থাকলে।
ব্রেন টিউমার কী:
ব্রেন টিউমার মস্তিষ্কে কোষের সংগ্রহ বা বস্তু। যখন কোষের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় তখন ব্রেন টিউমার সৃষ্টি হয়। ব্রেন টিউমার দুই ধরনের হয়। এক হলো ক্যান্সারযুক্ত অর্থাৎ ম্যালিগন্যান্ট আরেকটি ক্যান্সারহীন অর্থাৎ বিনাইন। ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমার বৃদ্ধি পেলে তা মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বাড়িয়ে তোলে। এটা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
মস্তিষ্কে মাংসের অথবা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াকে ব্রেন (মস্তিষ্ক) টিউমার বলা হয়। যখন মাথায় এই টিউমার বৃদ্ধি পায় তখন মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে। সঠিক সময়ে ব্রেন টিউমার চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে আগে জানা উচিত ব্রেন টিউমার যে কারণে হয়, এটি কী এবং এর লক্ষণগুলো কী কী।
মাথায় টিউমারের কয়েকটি লক্ষণ :
মাথা ব্যথা প্রায় সবার কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে সব ধরণের ব্যথা টিউমারের লক্ষণ নয়। ব্রেন টিউমার হলে তীব্র মাথা ব্যথা হয় এবং তা সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এই ধরণের মাথা ব্যথা টিউমারের একটি সাধারণ লক্ষণ। ব্রেন টিউমারের মাথা ব্যথা সাধারণত সকালের দিকে হয় এবং পরে তা ক্রমাগত হতে থাকে। এছাড়াও রাতে শোয়ার সময় পর্যন্ত ব্যথা থাকে।
কোনো কারণ ছাড়া বমি হওয়া এবং তীব্র মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি ভাব ব্রেন টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। কথা বলতে অথবা শুনতে সমস্যা হতে পারে। ব্রেন টিউমার হলে মাথা ঘোরায় যার ফলে পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
ব্যক্তির আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। ভুলে যাওয়া ব্রেন টিউমারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। ঘন ঘন রেডিয়েশন অথবা এক্স-রে নেয়া হলে এই রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্রেন টিউমার চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের আকার, অবস্থান এবং ধরনের ওপর। যেমন, ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমারের সাধারণ চিকিৎসা হলো সার্জারি। এটি ব্রেনের কোনো অংশ ক্ষতি না করে ক্যান্সার অপসারণে সহায়তা করে।
কিছু টিউমার এমন জায়গায় থাকে যেগুলো অপসারণ করা সহজ আবার কিছু এমন জায়গায় অবস্থান করে যেগুলো সরানো কঠিন হয়ে পড়ে। সার্জারিতে কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যেমন ইনফেকশন এবং রক্তক্ষরণ। বিনাইন টিউমার অস্ত্রোপচার মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
Discussion about this post