হার্টবিট ডেস্ক
পিঁয়াজ কাটতে গেলে চোখে পানি চলে আসে। তবে এই পিঁয়াজ যে স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারি তা জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য। প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের সঙ্গে এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা আমাদের শরীরে নানা উপকারে আসে।
স্যালাদ থেকে স্যান্ডউইচ কিংবা শুধু মুড়িতে মেখে যেমন নানা ভাবে পিঁয়াজ খাওয়া যায়, তেমনই এর রয়েছে নানাবিধ গুণ। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন নিয়মিত কাঁচা পিঁয়াজ খেলে কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা লাভ করা যায়।পিঁয়াজের মধ্যে ২৫টি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো রোগকে প্রতিরোধ করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পিঁয়াজের ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে এবং থিওসালফিনাটগুলি রক্ত পাতলা করার সঙ্গে সঙ্গে রক্তের ধারাবাহিকতা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত পিঁয়াজের মতো অ্যালিয়াম শাকসবজি খান তাদের মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ৭৯% কম। পিঁয়াজের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মুক্ত র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
একটি পিঁয়াজের মধ্যে ২৫.৩ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই কাঁচা পিঁয়াজ খেলে অক্সিডেটিভ চাপ কমে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে এবং এটি হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে, যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
পিঁয়াজের ভিটামিন এ, সি এবং কে পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে এবং আপনাকে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। ভিটামিন সি এর একটি ভাল উৎস হিসাবে পিঁয়াজ কোলাজেন নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে, যা ত্বক এবং চুল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাঁচা পিঁয়াজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে, যা ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। পিঁয়াজে পাওয়া কুয়েরসেটিন এবং সালফার নামক এই দুই নির্দিষ্ট যৌগ ডায়াবেটিক বিরোধী প্রভাব ধারণ করে।
Discussion about this post