হার্টবিট ডেস্ক
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিএসএমএমইউতে বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ অস্টিওপোরোসিস। এ সমস্যায় হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে হাড় হালকা ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই হাড়ের সুরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে সবাইকে।
তিনি বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভারী ব্যায়াম করা উচিত নয়। বিছানা থেকে ওঠানামার সময় এবং বাথরুমে পড়ে গিয়ে হাড়ের ফ্রাকচার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাথরুম যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বেশি করে সবুজ শাক সবজি খেতে হবে। ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম খাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণার প্রতি আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষক, চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মানুষের জন্মের পর ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। আবার ৪০ বছরের পর থেকে প্রাকৃতিকভাবেই এ ঘনত্ব কমতে থাকে। অর্থাৎ ক্ষয় হতে থাকে। ক্ষয় যদি আগেই শুরু হয়, কিংবা বেশি মাত্রায় হয়, তখনই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কিন্তু অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হলেও বেশির ভাগ মানুষ অনেক দিন পর্যন্ত তা বুঝতে পারে না।
এতে বলা হয়, নারীদের হাড়ের গঠন ধরে রাখা খুবই দরকার। ৪৪ বা ৪৫ বছর পর যখন নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রথম ১০ বছরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। যদি আগে থেকে এটা প্রতিরোধ না করা যায় বা হাড়ের গঠনের জন্য কোনো ওষুধ দেওয়া না হয় তাহলে দেখা যায়, তারা খুব অস্বাভাবিক হয়ে যান; শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. কৃষ্ণ প্রিয় দাশ, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আহসান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার কুণ্ডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post