হার্টবিট ডেস্ক
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও এক কোটি ৬২ লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। নতুন করে দুইটি চালানে ৭২ লাখ ও ৯০ লাখ ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে খুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ এবং ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’-এর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে স্কুল শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় কোটির মতো। তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমাদের হাতে ফাইজারের ভ্যাকসিনও আছে। নতুন করে ৭২ ও ৯০ লাখ ভ্যাকসিনের দুটি চালান শিগগিরই আসবে। শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইজারের ভ্যাকসিন আছে ।
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে ইতোমধ্যেই আমরা ২১ কোটি ভ্যাকসিন কিনেছি। এসব ভ্যাকসিন এখন প্রতি মাসেই আসছে। গতকালও ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। সব মিলিয়ে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। এ মাসে তিন কোটির মতো ভ্যাকসিন আমরা দিতে পারব।
টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের কেনা ভ্যাকসিন যদি শিডিউল অনুযায়ী আসতে থাকে, তাহলে আশা করি প্রতি মাসেই তিন কোটির বেশি ভ্যাকসিন দিতে পারব। এক মাসে সেটি চার কোটিও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে নিয়মিত ভ্যাকসিন পাচ্ছি। কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, আমরা টিকাদান কর্মসূচিতে ভালো করছি। আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে ভ্যাকসিন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য— তারাও সম্মতি দিয়েছে।
Discussion about this post