অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
রক্তনালির পথ বন্ধ হয়ে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি যখন হৃদ্যন্ত্রে পৌঁছাতে পারে না, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। আগেভাগে বলা যায় না কখন হার্ট অ্যাটাক হবে। তাই যে কেউ যেকোনো সময় এতে আক্রান্ত হতে পারে। বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও দুশ্চিন্তার কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
ব্যক্তিভেদে উপসর্গ
- হঠাৎ বুকে অস্বস্তি
- বুকব্যথা না কমা
- হাত, ঘাড়, পিঠ, পেট ও
- চোয়ালে ব্যথা
- ঘাম হওয়া
- মাথা হালকা লাগা
- শ্বাসকষ্ট
- শরীর খারাপ লাগা
- নারীদের ক্ষেত্রে হজমে
- সমস্যা দেখা দেওয়া
ওপরের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সিতে পৌঁছাতে হবে। নিয়ম মেনে চললে এই বিপদ এড়ানো যায়।
প্রতিরোধে করণীয়
- হাসপাতাল ছাড়ার আগে জেনে নিতে হবে কোন কোন ওষুধ কখন খেতে হবে এবং কত দিন খেতে হবে।
- বাসায় আসার পর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ ও খাবার খেতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও এ বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
- ডাক্তার দেখাতে হবে ২ সপ্তাহ পর। প্রয়োজনে কার্ডিয়াক রিহ্যাবে যেতে হবে।
- ২ মাস পরপর চেকআপ করাতে হবে।
- ৩-৪ মাস পর আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
- ৮ মাস পর পুনরায় ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তার ওষুধ বদলে দেবেন।
জীবনযাপনে পরিবর্তন
- ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দিতে হবে
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরচর্চা করতে হবে
- মেডিটেরিয়ান ডায়েট মেনে সবজি, মাছ, ফল, বাদাম, বীজ খেতে হবে
- রান্নায় জলপাই তেল ব্যবহার করা ভালো
- মানসিক চাপ কমাতে হবে
- লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
- লাল আটা, লাল চাল ও ডাল খেতে হবে
- আনন্দে থাকতে হবে
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
Discussion about this post