হার্টবিট ডেস্ক
জানেন কি অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারাত্মক বহু রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে চিনি খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুব বিপজ্জনক হতে পারে। চিনি বিষ জেনেও কিছুতেই লোভ সামলানো যায় না! চোখের সামনে চকলেট, মিষ্টি দেখলেই টপাটপ মুখে চালান অনেকেই! অনেকের কাছে চিনি খাওয়া বন্ধ করা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু ধীরে ধীরে চিনি খাওয়া কমাতে না পারলে মারাত্মক বিপদই অপেক্ষা করছেন আপনার জন্য।
ওজন বেড়ে যাওয়া
অতিরিক্ত চিনি খেলে বাড়তে পারে ওজন। বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় থেকে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভাত বা অন্য কোনো শর্করা জাতীয় খাবার খেলে যে পরিমাণ মেদ বাড়ে, চিনিতে বাড়ে তার অন্তত দুই থেকে পাঁচগুণ।
হৃদরোগের ঝুঁকি
চিনিতে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। বেশি চিনি খাওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলো যেমন স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রদাহ বৃদ্ধি করে। বেশি চিনিযুক্ত ডায়েটে হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
ব্রণ
মিষ্টি জাতীয় খাবার প্রায় সবারই ভালো লাগে। কিন্তু বেশি চিনিযুক্ত খাবারগুলো এন্ড্রোজেন নিঃসরণ, তেলের উৎপাদন এবং প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা আপনার ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ডায়াবেটিস
মোটা মানুষের ডায়াবেটিস টু হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আর চিনি এটি ত্বরান্বিত করে। বেশি চিনিযুক্ত খাদ্য স্থূলতা এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করতে পারে। উভয়ই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণ।
ক্যানসার
চিনি ও চিনিযুক্ত পানীয় ক্যানসারের কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অত্যধিক চিনি স্থূলতা, ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং প্রদাহ হতে পারে, এগুলো সবই ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ।
বাড়তে পারে ডিপ্রেশন
মিষ্টি খাবারের প্রধান উৎসই হলো চিনি। আর চিনি ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত চিনি এবং প্রসেসড খাবার, একজন পুরুষ ও নারী, উভয়েরই হতাশার ঝুঁকি বাড়ায়।
ত্বকের বার্ধক্য
চিনিযুক্ত খাবার ত্বকের বার্ধক্য এবং বলিরেখা গঠন দ্রুত করতে পারে। খুব বেশি চিনি খাওয়ার ফলে টেলোমেরেস সংক্ষিপ্ত হতে পারে, যা কোষের বার্ধক্য বাড়ায়।
শক্তি-ক্ষমতা হ্রাস
বেশি চিনিযুক্ত খাবারে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি হয়। যা আপনার শক্তির মাত্রাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং তারপরে শরীর ভেঙে পড়ে। অত্যধিক চিনি খাওয়ার ফলে এনএএফএলডি হতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি তৈরি হয়।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
Discussion about this post