হার্টবিট ডেস্ক
কোলেস্টেরলকে বলা হয় নীরব ঘাতক। কোলেস্টেরল এক প্রকারের চর্বি। এটি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে—ট্রাইগ্লিসারাইডস, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টেরল। এর মধ্যে এইচডিএল হলো উপকারী এবং এলডিএল হলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে কোলেস্টেরল বাড়ার কয়েক লক্ষণ প্রকাশ করা হয়েছে। আসুন, আজ আমরা তিনটি লক্ষণ জেনে নিই—
পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হওয়া
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে শীতকালের মতো সারা বছরই পায়ের পাতা ঠাণ্ডা থাকতে পারে। এটি মূলত পিএডি বা পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের অন্যতম লক্ষণ। শরীরে উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে এ লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ত্বক ও নখের রং পরিবর্তন হলে
পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে পায়ের নখ ও ত্বকের রং পরিবর্তন হতে পারে। এর মূল কারণ অক্সিজেন বহনকারী রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে কোষগুলো ঠিকমতো পুষ্টি পায় না। ফলে পায়ের ত্বক চকচকে ও টানটান হয় এবং পায়ের নখগুলোও পুরু হতে পারে, ধীর গতিতে বাড়তে পারে। তাই ত্বক ও নখের রঙে পরিবর্তন লক্ষ করলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ক্ষত না সারা
পিএডি বা পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের অন্যতম লক্ষণ হলো ক্ষত না সারা। শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ইসকেমিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অনেকেরই পায়ে অসাড় ভাব বা দুর্বলতার অনুভূতি হতে পারে। এটিও পিএডির লক্ষণ। তাই এমন লক্ষণ প্রকাশ পেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। আর একটি কথা, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আপনাকে অবশ্যই জীবন যাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
Discussion about this post