হার্টবিট ডেস্ক
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ সহস্রাধিক মৃত্যু দেখল রাশিয়া। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে এক হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় ১০০২ জনের প্রাণহানি এবং ৩৩ হাজার ২০৮ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যা এই মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের করোনা সংক্রমণ এবং প্রাণহানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসা ওয়েবসাইট গোগভ বলছে, সম্প্রতি রাশিয়ায় করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঢেউ শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত দেশটির মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার উভয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
কঠোর বিধি-নিষেধ না থাকায় এই ভাইরাস সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে দেশটিতে; যদিও কিছু অঞ্চলের জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় চলাচলের জন্য কিউআর কোড পুনরায় চালু করা হয়েছে।
দেশের টিকাদানের হার ‘অগ্রহণযোগ্য’ কম বলা সত্ত্বেও কঠোর বিধিনিষেধ পুনরায় চালুর বিষয়টি এড়িয়ে চলতি সপ্তাহে ক্রেমলিন বলেছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখাও নিশ্চিত করতে হচ্ছে। রাশিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবে রোগীর এই সংখ্যা চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি করার মতো নয় বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
দেশটিতে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য অবশ্য নাগরিকদেরই দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো মহামারির পুনরুত্থানের জন্য জনসাধারণের ‘আচরণ’ দায়ী বলে মন্তব্য করেন। একই সময়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, টিকা নিয়ে জীবন বাঁচানোর সুযোগ দিতে জনসাধারণের জন্য সবকিছু করা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের কয়েকটি টিকা রাশিয়ায় পাওয়া গেলেও দেশটির নাগরিকদের টিকা নিয়ে সংশয়ের কারণে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বেসরকারি কিছু জরিপে দেখা গেছে, দেশটির অর্ধেকেরও বেশি নাগরিক টিকা না নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
Discussion about this post