হার্টবিট ডেস্ক
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এসেও এখনো নিয়ন্ত্রণহীন ডেঙ্গু। তবে ঢাকা উত্তরের চেয়ে দক্ষিণের দাপটটা তুলনামূলক ভাবে বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন রোগী সুস্থ হতে সময় লাগছে বেশি। ব্যক্তি সচেতনতা ছাড়া এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। যার কারণে বাড়ছে শঙ্কা।
মিটফোর্ড হাসাপাতালের এক চিকিৎসক জানান, আমাদের প্রত্যাশা ছিল সেপ্টেম্বরের শেষে দিকে ডেঙ্গু রোগী কমে যাবে, কিন্তু অক্টোবরের মাঝামাঝিতে এসেও কমে যায়নি রোগী ভর্তি হওয়া। এখনও ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী পাচ্ছি। সেক্ষেত্রে এ মাসেও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি শেষ হবে কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না।
সাধারণত প্রতি বছর অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এলেও চলতি বছরের চিত্র পুরোটা ভিন্ন। চিকিৎসকরা বলছেন প্রথম দিকে রোগীর অবস্থা খুব দ্রুত খারাপ হলেও এখন সুস্থ হতে সময় লাগছে বেশি।
এদিকে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। আক্রান্তদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তর জানায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯১ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৪৫ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪৬ জনে। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৮৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি আছেন ১৬৬ জন।
চলতি বছর মোট আক্রান্তদের মধ্যে অক্টোবরে ২ হাজার ৮২১ জন, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৪১ জন, আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন এবং জুন মাসে ২৭২ জন ও মে মাসে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
এছাড়া, এ বছরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮২ জন। এদের মধ্যে চলতি মাসে ১৩ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, আগস্টে ৩৪ জন ও জুলাই মাসে ১২ জন মারা গেছেন।
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।
Discussion about this post