হার্টবিট ডেস্ক
ইনজেকশনের সুচ না ফুটিয়েই ভ্যাকসিন প্রয়োগের যুগান্তকারী এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক। যাতে লেজারের মাধ্যমে ব্যথা ছাড়াই শরীরে প্রবেশ করানো যাবে যেকোনো ভ্যাকসিন। এতে সুইকে ভয় পাওয়া মানুষ যেমনি সহজে টিকা নিতে পারবেন, তেমনি কমবে সিরিঞ্জের ঝামেলাও। থাকবে না সুই থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কাও।
ইনজেকশনের সূচে ভয়, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয় পৃথিবীতে।
ইনজেকশন-ভীতির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে করোনাভাইরাসের টিকাদানের ক্ষেত্রে। এমনকি সুই ফোটানোর ভয়ে অনেকে টিকাকেন্দ্র থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ সমস্যা এড়াতে চমৎকার এক সমাধান বের করেছেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা। তাদের আবিষ্কৃত ‘বাবল গানের’ মাধ্যমে সুই ছাড়াই টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। লেজারের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া এতো দ্রুত সম্পন্ন হয় যে, টেরই পাওয়া যাবে না টিকার প্রয়োগ।
নেদারল্যান্ডের গবেষক ডেভিড ফার্নান্দেজ রিভাস বলেন, শুরুতে কাঁচের ভেতরে থাকা তরলকে বুদবুদে পরিণত করে লেজার। যা ঘণ্টায় প্রায় একশ’ কিলোমিটার গতিতে চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করে। আর এর সবই হয় মাত্র এক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে।
উদ্ভাবকরা বলছেন, লেজারের এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ইনজেকশনের ধারণাই বদলে যাবে। শুধু করোনার টিকাই নয়, ব্যথাহীন এ পদ্ধতিতে দেয়া যাবে যেকোনো ভ্যাকসিনই। থাকবে না সুই-সিরিঞ্জের ঝামেলা, কমবে জীবাণু ছড়ানোর ভয়ও।
ডেভিড ফার্নান্দেজ আরও বলেন, সুচ ছাড়া ইনজেকশন প্রযুক্তি নতুন একটি মাইলফলক। এখন আর কেউ ব্যথার অজুহাত দিতে পারবেন না। টিকা ত্বকের উপরিভাগে প্রবেশ করে বলে ইমিউন সিস্টেমে আরও কার্যকরভাবে কাজ করবে। এছাড়া পরিত্যক্ত সুইয়ের কারণে পরিবেশের যে দূষণ হয়, তা কমাতেও এটি ভূমিকা রাখবে।
অবশ্য এখনই সাধারণ মানুষের নাগালে আসছে না লেজারের এ ইনজেকশন প্রযুক্তি। উদ্ভাবকদের ধারণা, সব প্রক্রিয়া শেষ করে বড় পরিসরে ব্যথাহীন টিকা প্রয়োগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, আরও অন্তত এক বছর।
Discussion about this post