হার্টবিট ডেস্ক
দীর্ঘ দুই বছর ধরে করোনা মহামারীতে ধরাশায়ী সারাবিশ্ব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্রমণ খানিকটা কমে এলেও নতুন নতুন ঢেউয়ে আবারও বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। অথচ এই ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে একাধিক বক্তব্য এলেও এখনো কোনো ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি বিশ্ব।
এবার তাই ভাইরাসটির উৎস অনুসন্ধানে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জানিয়েছে নতুন টাস্কফোর্স সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন দ্য অরিজিন অব নভেল প্যাথোজেনস্ (এসএজিও) গঠনের কথা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে টাস্কফোর্সের জন্য ২৬ জন বিশেষজ্ঞকে মনোনোয়নের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসাথে এই টাস্কফোর্সকে ভাইরাসের উৎস সন্ধানের সম্ভাব্য শেষ সুযোগ বলেও আখ্যায়িত করেছে ডব্লিউএইচও।
চীনের উহানে প্রথম চিহ্নিত হওয়া ভাইরাসটি সেখানকার বাজারের প্রাণী থেকে মানুষে বাহিত হয়েছে না শহরটির কোনো গবেষণাগার থেকে দুর্ঘটনাবশত ছড়িয়েছে তাও খতিয়ে দেখবে টাস্কফোর্স এসএজিও।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানের দায়িত্ব পাওয়া আরেকটি দল তদন্তের উদ্দেশ্যে চীনে যায়। এসময় জমা দেয়া প্রতিবেদনে বাদুড় থেকে মানুষের মাঝে ছাড়ায় বলেই জানায় তারা।
তবে চীনের দিক থেকে স্বচ্ছতার অভাবের কারণে তদন্ত ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস জানান, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও কাজ করা দরকার।
প্রস্তাবিত নতুন টাস্কফোর্সে তদন্তের জন্য চীনে সফর করা ছয় বিশেষজ্ঞও রয়েছেন। করোনাভাইরাস ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ অন্য রোগজীবাণুর উৎপত্তি নিয়েও অনুসন্ধান চালাবে তারা।
সিএনএনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মহামারীর প্রথম মাসে সংগ্রহ করা লাখো ব্লাড ব্যাংক নমুনা পরীক্ষায় চীনের প্রস্তুতির বিষয়টি উঠে আসে। এরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন টাস্কফোর্সের ঘোষণা এল বলে জানায় বিবিসি।
এবিষয়ে অন্য জায়গায়ও টিম পাঠানোর সময় হয়েছে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের জেনিভা দপ্তরে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেন শু।
Discussion about this post