• About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
Saturday, May 17, 2025
  • Login
Heart Beat BD- হার্টবিট

Information For Life

তথ্য জানুন, সুস্থ থাকুন

  • হোম
  • সংবাদ
    • শীর্ষ সংবাদ
    • স্বাস্থ্য সংবাদ
    • ঔষধ সংবাদ
    • স্বাস্থ্য ফিচার
    • সাক্ষাৎকার
    • বিশেষজ্ঞ ভাবনা
    • মতামত
    • হেলথ ক্যারিয়ার
    • স্বাস্থ্যশিক্ষা
    • ভিডিও গ্যালারী
  • আপনার স্বাস্থ্য

    • কিডনী এন্ড ইউরোলজী

    • ক্যান্সার

    • চক্ষুরোগ

    • চর্ম ও যৌনরোগ

    • মেডিসিন

    • ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ

    • দন্তরোগ

    • নাক,কান,গলা

    • প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ

    • বক্ষব্যাধি

    • বাত, ব্যাথা এন্ড প্যারালাইসিস

    • ব্রেইন এন্ড স্পাইন

    • মানসিক ও স্নায়ুরোগ

    • লিভার ও পরিপাকতন্ত্র

    • শিশুস্বাস্থ্য

    • হাড, জোড়া ও ট্রমা

    • হৃদরোগ

    • কিডনী এন্ড ইউরোলজী
    • মানসিক ও স্নায়ুরোগ
      • মস্তিষ্ক ও স্নায়ু রোগ
      • মানসিক রোগ
  • আপনার ডাক্তার
  • হসপিটাল এন্ড ল্যাব
    • হসপিটাল
    • ল্যাব
  • জীবনশৈলী
    • ফিটনেস
    • রান্নাবান্না
    • রুপলাবণ্য
    • বিনোদন
    • হেলথ টিপস
    • খাদ্য ও পুষ্টি
  • ডক্টর’স ক্রিয়েশন
  • জরুরি স্বাস্থ্য
    • জরুরি ফোন
    • এম্বুলেন্স
    • ব্লাড ব্যাংক
  • রোগ জিজ্ঞাসা
No Result
View All Result
  • হোম
  • সংবাদ
    • শীর্ষ সংবাদ
    • স্বাস্থ্য সংবাদ
    • ঔষধ সংবাদ
    • স্বাস্থ্য ফিচার
    • সাক্ষাৎকার
    • বিশেষজ্ঞ ভাবনা
    • মতামত
    • হেলথ ক্যারিয়ার
    • স্বাস্থ্যশিক্ষা
    • ভিডিও গ্যালারী
  • আপনার স্বাস্থ্য

    • কিডনী এন্ড ইউরোলজী

    • ক্যান্সার

    • চক্ষুরোগ

    • চর্ম ও যৌনরোগ

    • মেডিসিন

    • ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ

    • দন্তরোগ

    • নাক,কান,গলা

    • প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ

    • বক্ষব্যাধি

    • বাত, ব্যাথা এন্ড প্যারালাইসিস

    • ব্রেইন এন্ড স্পাইন

    • মানসিক ও স্নায়ুরোগ

    • লিভার ও পরিপাকতন্ত্র

    • শিশুস্বাস্থ্য

    • হাড, জোড়া ও ট্রমা

    • হৃদরোগ

    • কিডনী এন্ড ইউরোলজী
    • মানসিক ও স্নায়ুরোগ
      • মস্তিষ্ক ও স্নায়ু রোগ
      • মানসিক রোগ
  • আপনার ডাক্তার
  • হসপিটাল এন্ড ল্যাব
    • হসপিটাল
    • ল্যাব
  • জীবনশৈলী
    • ফিটনেস
    • রান্নাবান্না
    • রুপলাবণ্য
    • বিনোদন
    • হেলথ টিপস
    • খাদ্য ও পুষ্টি
  • ডক্টর’স ক্রিয়েশন
  • জরুরি স্বাস্থ্য
    • জরুরি ফোন
    • এম্বুলেন্স
    • ব্লাড ব্যাংক
  • রোগ জিজ্ঞাসা
Heart Beat
No Result
View All Result
Home সংবাদ

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট নেই দেশের ১৬ মেডিকেল কলেজে

heartbeat 71bd by heartbeat 71bd
October 13, 2021
in সংবাদ, স্বাস্থ্য ফিচার
0
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট নেই দেশের ১৬ মেডিকেল কলেজে
0
SHARES
16
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

হার্টবিট ডেস্ক    

দেশের ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মাঝে ১৬টিতেই উপেক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা। একদিকে দেশে যখন বাড়ছে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা মানুষের হার, তখন দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি মেডিকেল কলেজেই নেই প্রয়োজনীয় জনবল। সেইসঙ্গে দেশের ১৬টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য আলাদা কোনো বিভাগ বা ইউনিট। মানসিক চিকিৎসা সেবার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, খুব দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এর জন্য মেডিকেল কলেজগুলোতে মানসিক বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। দেশে ৩০টি সরকারি ও ৫৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে। এগুলো রেফারেল সেন্টার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। যেখানে মেডিকেল কলেজ নেই সেখানে বিকল্প পদ্ধতিতে সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।

মেডিকেল কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসাসেবার বর্তমান অবস্থা

দেশে সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে মনোরোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই হাসপাতালের ইনডোরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় ২১টি শয্যায়। তবে এখানে মনোরোগ বিভাগে বর্তমানে একজন অধ্যাপক থাকলেও নেই কোনো সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপক। এই মেডিকেল কলেজে বর্তমানে একজন সহকারী রেজিস্টার ও রেজিস্টার কর্মরত আছেন।

১৯৬৮ সালে মনোরোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একজন সহযোগী অধ্যাপকসহ দু’জন মনোরোগবিদ এই বিভাগে আছেন বর্তমানে। তবে এখানে হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য নেই আলাদা কোনো শয্যা।বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালে মনোরোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখানকার ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য রয়েছে ৬০টি শয্যা। কিন্তু মাত্র একজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে পরিচালনা করা হয় হাসপাতালটির মনোরোগ বিভাগ।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে একজন সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী রেজিস্টারসহ তিনজন কর্মরত রয়েছেন। তবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই কোনো অধ্যাপক। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য আছে ১৫টি শয্যা।বিজ্ঞাপন

১৯৭৮ সালে মনোরোগ বিভাগ শুরু করা হয় সিলেটের এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখানের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য ২৫টি শয্যা আছে। এই মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগে চারজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন সহযোগী অধ্যাপক থাকলেও নেই কোনো অধ্যাপক।

১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রংপুর মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ। এখানে একজন সহকারী অধ্যাপকসহ দুইজন কর্মরত আছেন বর্তমানে। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য আছে ১৬টি শয্যা।

১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ। এই বিভাগ বর্তমানে পরিচালিত হয় শুধুমাত্র একজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য আছে ১২টি শয্যা।

১৯৮৭ সালেই প্রতিষ্ঠিত হয় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ। এখানে বর্তমানে শুধুমাত্র একজন সহকারী অধ্যাপক কর্মরত আছেন। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য রয়েছে ১২টি শয্যা।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ। এখানে একজন অধ্যাপকসহ বর্তমানে আছে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট ও একজন রেজিস্টার। এই হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্যচিকিৎসার জন্য আছে ১৮টি শয্যা।

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগ। এখানে একজন সহকারী অধ্যাপক ও রেজিস্টারসহ দু’জন কর্মরত আছেন। এই হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য আছে ১২টি শয্যা।

১৯৯৯ সালেই প্রতিষ্ঠিত হয় দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ। এখানে একজন ইমার্জেন্সি মেডিকেল কর্মকর্তা কর্মরত আছেন বলে জানানো হলেও তিনি মনোরোগবিদ নন। এই হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য কোনো শয্যা নেই।

১৯৯৯ সালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শুরু করা হয় মনোরোগ বিভাগ। এখানে বর্তমানে কর্মরত আছেন একজন অধ্যাপক ও একজন সহযোগী অধ্যাপক। এখানে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে আছেন একজন। তবে এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য নেই কোনো শয্যা।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগে বর্তমানে কর্মরত আছেন একজন সহযোগী অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপক। একজন মেডিকেল অফিসার এখানে কর্মরত দেখানো হলেও তিনি মনোরোগবিদ নন। এই হাসপাতালের ইনডোরেও মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য নেই কোনো শয্যার ব্যবস্থা।

২০১৬ সালে পাবনা মেডিকেল কলেজ ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিভাগ শুরু করা হয়। পাবনা মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ পরিচালিত হয় দু’জন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ পরিচালিত হয় মাত্র একজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে। ২০১৬ সালেই গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজে শুরু করা হয় মনোরোগ বিভাগ। এখানেও একজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে মনোরোগ বিভাগ পরিচালনা করা হয়। তবে এই তিন হাসপাতালের ইনডোরে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনো শয্যা বরাদ্দ নেই।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগ পরিচালনা করা হয় একজন মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে। কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগও পরিচালনা করা হয় শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি দিয়ে। এই দুই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোরেই মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য কোনো শয্যা বরাদ্দ নেই। এছাড়া মুগদা মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগও পরিচালনা করা হয় একজন বিশেষজ্ঞ দিয়ে।

শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই নয়, রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা ইনস্টিটিউটেও জনবল অপ্রতুল। এখানে সাতজন অধ্যাপক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একজন দায়িত্বরত আছেন। এছাড়া এখানে সাতজন সহযোগী অধ্যাপক রয়েছেন। আর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে এখানে সাতজন কর্মরত থাকলেও সাতজনের পদ এখনও খালি।

যেসব মেডিকেল কলেজে নেই মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বা ইউনিট

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ, যশোর মেডিকেল কলেজ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ, মাগুরা মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা মেডিকেল কলেজ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, নীলফামারী মেডিকেল কলেজ ও জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বা ইউনিট নেই।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর জানায়, এই মেডিকেল কলেজগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বা ইউনিটের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য শয্যা বরাদ্দ দিয়ে সেখানে সেবা শুরু করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. টিটো মিঞা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দেশে এক সময় মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব ছিল। একইসঙ্গে মেডিকেল কলেজেও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। হাসপাতালেও সংকট ছিল কিছু। তবে সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বেড বাড়ানোর জন্য বলেছেন। একইসঙ্গে মেডিকেল কলেজেও মনোরোগ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মেডিকেলে একজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে মনোরোগ বিভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতি মাসেই আমরা জনবল সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাই। এগুলো যেহেতু দাফতরিক বিষয় তাই চাইলেই আমি হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমি চাহিদা দিতে পারি। কিন্তু হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘দেশে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসা বিষয়ে মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত কিছু ভুল ধারণা কাজ করে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, মনোরোগ বিষয়েও অনেকটা খামখেয়ালী ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এখন সব ঘাটতি পূরণের কাজ হচ্ছে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ। কারণ, চাইলেই আমি একদিনে বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে পারি না। জনবল সংকট কাটানোর বিষয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এগুলো সমাধান করা হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘দেশের একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার মনে হয়, মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাকে এখনও গতানুগতিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ধরা হচ্ছে না। আর তাই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের বিষয়ে মানুষ বেশি আগ্রহ দেখায় না। তবে আমাদের পক্ষ থেকে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। জাতীয় কর্মকৌশল চূড়ান্ত হওয়ার পরে আমরা উপজেলা পর্যায়েও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারব।’

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে বেডের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে মেডিকেল কলেজগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে মনোরোগ বিভাগের বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিঞা’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পার্থক্য

বিশ্বের সব দেশেই বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে। এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মনোরোগবিদ ছিলেন ২৪ হাজার। কিন্তু ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ৪৯ হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ছয় জন মানুষের জন্য একজন মনোরোগবিদ ছিলেন। এই সংখ্যা আরও বাড়ে ২০২১ সালে।

তবে প্রেক্ষাপট পাল্টায়নি বাংলাদেশে। ১৯৯০ সালের দিকে ৫০ জনের মতো মনোরোগবিদ থাকলেও এই পরিস্থিতি খুব বেশি পাল্টায়নি। মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো-সংক্রান্ত সর্বশেষ জরিপ হয় ২০১৫ সালে। ওই জরিপ অনুযায়ী, দেশে মাত্র ২২০ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এছাড়াও ৫০ জনের মতো প্রশিক্ষিত ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী থাকার বিষয়ে জানানো হয়।

২০০৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাসেসমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্টস ফর মেন্টাল হেলথ সিস্টেমস রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী শূন্য দশমিক ৪৯ জন। এর মধ্যে প্রতি লাখে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন শূন্য দশমিক শূন্য ৭৩ জন, সাইকিয়াট্রিক নার্স শূন্য দশমিক ১৯৬ জন, মনোবিজ্ঞানী শূন্য দশমিক ০০৭ জন, সমাজসেবাকর্মী শূন্য দশমিক ০০২ জন, পেশাদার থেরাপিস্ট আছেন শূন্য দশমিক ০০৩ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী (সাপোর্ট স্টাফ, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্যারা-কাউন্সিলর ইত্যাদি) শূন্য দশমিক ০২৯ জন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে এই ধরনের জরিপ না হওয়ায় বর্তমান মাঠ ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর অবস্থার বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও মনে রাখতে হবে যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এতদিন থেমে থাকেনি। যেমনটা থেমে থাকেনি আনুপাতিক বিবেচনায় আক্রান্তের হারও। সৌজন্যে-

২০০৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাসেসমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্টস ফর মেন্টাল হেলথ সিস্টেমস রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী শূন্য দশমিক ৪৯ জন। এর মধ্যে প্রতি লাখে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন শূন্য দশমিক শূন্য ৭৩ জন, সাইকিয়াট্রিক নার্স শূন্য দশমিক ১৯৬ জন, মনোবিজ্ঞানী শূন্য দশমিক ০০৭ জন, সমাজসেবাকর্মী শূন্য দশমিক ০০২ জন, পেশাদার থেরাপিস্ট আছেন শূন্য দশমিক ০০৩ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী (সাপোর্ট স্টাফ, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্যারা-কাউন্সিলর ইত্যাদি) শূন্য দশমিক ০২৯ জন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে এই ধরনের জরিপ না হওয়ায় বর্তমান মাঠ ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর অবস্থার বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও মনে রাখতে হবে যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এতদিন থেমে থাকেনি। যেমনটা থেমে থাকেনি আনুপাতিক বিবেচনায় আক্রান্তের হারও। সৌজন্যে-সারাবাংলা

Advertisement Banner
Previous Post

মাকসুদ ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক

Next Post

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫ লাখ টাকা অনুদান ব্যাংক এশিয়া’র

heartbeat 71bd

heartbeat 71bd

Next Post
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫ লাখ টাকা অনুদান ব্যাংক এশিয়া’র

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫ লাখ টাকা অনুদান ব্যাংক এশিয়া’র

Discussion about this post

Recommended

এমবিবিএস ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ১ ও ২২ এপ্রিল

এমবিবিএস ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ১ ও ২২ এপ্রিল

3 years ago
রাজশাহীতে ভুঁইফোঁড় হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি!

রাজশাহীতে ভুঁইফোঁড় হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি!

3 years ago
Prev Next

Don't Miss

বিভিন্ন মেয়াদে ২২ জন চিকিৎসকের প্রেষণ মঞ্জুর

বিভিন্ন মেয়াদে ২২ জন চিকিৎসকের প্রেষণ মঞ্জুর

May 15, 2025
রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

May 15, 2025
‘অতিরিক্ত লবণে মহামারীর মতো ছড়াচ্ছে হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ’

‘অতিরিক্ত লবণে মহামারীর মতো ছড়াচ্ছে হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ’

May 15, 2025
চট্টগ্রামে নতুন দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রামে নতুন দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

May 15, 2025
Prev Next
Heart Beat BD- হার্টবিট

এস.এম.পারভেজ

সম্পাদক



Follow us

Email: heartbeat71bd@gmail.com

Advisor

Prof. Dr. Shuvagoto Chowdhury

MBBS,PhD

Prof. Dr. M. A. Mohit Kamal

MBBS, MPhil, PhD, FWPA, FWHO, CME-WCPD

Editorial board

Dr. Mohammad Najim Uddin

MBBS, MCPS, MD

Dr.Satyajit Roy

MBBS, MD

Tags

অধ্যাপক অ্যান্টিবডি অ্যাস্ট্রাজেনেকা আইইডিসিআর আইসিইউ আইসিইউ শয্যা আইসিডিডিআর আলজেইমারস করোনা করোনার টিকা করোনা রোগ কিডনি কোভিড-১৯ ক্যানসার ক্যান্সার চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল চমেক চাকরি চিকিৎসক টিকা ডায়াবেটিস ডেঙ্গু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নার্স প্রধানমন্ত্রী ফাইজার ফাইনাল প্রফ পরীক্ষা বঙ্গভ্যাক্স বিএসএমএমইউ বুস্টার ডোজ ব্যথা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভ্যাকসিন মডার্নার টিকা মেডিকেল কলেজ লকডাউন শেবাচিম হাসপাতাল স্ট্রোক স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য অধিদফতর স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা হৃদরোগ হোমিও-ইউনানি
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact

© 2020 Heart Beat Bangladesh - All copy right reserved with INTEL Media and Communication.

No Result
View All Result
  • হোম
  • সংবাদ
    • শীর্ষ সংবাদ
    • স্বাস্থ্য সংবাদ
    • ঔষধ সংবাদ
    • স্বাস্থ্য ফিচার
    • সাক্ষাৎকার
    • বিশেষজ্ঞ ভাবনা
    • মতামত
    • হেলথ ক্যারিয়ার
    • স্বাস্থ্যশিক্ষা
    • ভিডিও গ্যালারী
  • আপনার স্বাস্থ্য
    • কিডনী এন্ড ইউরোলজী
    • মানসিক ও স্নায়ুরোগ
      • মস্তিষ্ক ও স্নায়ু রোগ
      • মানসিক রোগ
  • আপনার ডাক্তার
  • হসপিটাল এন্ড ল্যাব
    • হসপিটাল
    • ল্যাব
  • জীবনশৈলী
    • ফিটনেস
    • রান্নাবান্না
    • রুপলাবণ্য
    • বিনোদন
    • হেলথ টিপস
    • খাদ্য ও পুষ্টি
  • ডক্টর’স ক্রিয়েশন
  • জরুরি স্বাস্থ্য
    • জরুরি ফোন
    • এম্বুলেন্স
    • ব্লাড ব্যাংক
  • রোগ জিজ্ঞাসা

© 2020 Heart Beat Bangladesh - All copy right reserved with INTEL Media and Communication.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In