হার্টবিট ডেস্ক
হুট করে একদিন সুগার মেপে যদি দেখেন ডায়াবেটিসটা আচমকা হয়েই গেলো, তবে ভুল ভাববেন। শরীরে ইনসুলিন তৈরির কারখানায় গণ্ডগোল শুরুর আগে দেখা দেয় বেশ কিছু লক্ষণ। তখন থেকেই হওয়া চাই সাবধান।
ক্ষুধা ও অবসাদ
খাবার খাওয়ার পর সেটা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। আর সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের কোষগুলো শক্তি তৈরি করে। কাজটা করতে, অর্থাৎ গ্লুকোজকে কাজে লাগাতে কোষের দরকার হয় ইনসুলিন। কোষ যদি সেই ইনসুলিন না পায় কিংবা কোনও কারণে ইনসুলিন যদি গ্রহণ করতে না চায় তবে গ্লুকোজটা আর কাজে আসে না। তখন খাওয়ার পরও দেখা যাবে ক্লান্তিভাব বা দুর্বলতা কাটছে না। এমনটা বুঝতে পারলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘন ঘন তৃষ্ণা ও প্রস্রাব
ডায়াবেটিসকে বাংলায় বহুমূত্র বলার কারণ আছে বটে। শরীরে সুগারের আধিক্য দেখা গেলে সেটা শরীর শোষণ করতে পারে না। কিডনির ওপর চাপ বেড়ে যায়। তখন বাড়তি সুগারটাকে বের করে দিতে শরীরে ইউরিন তৈরি হয় বেশি। এতে প্রস্রাব হবে ঘন ঘন, তৃষ্ণাও বাড়বে।
ড্রাই মাউথ ও ত্বকে চুলকানি
ডায়াবেটিসের আগাম লক্ষণ হলো শরীর থেকে পানি বের হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এতে ত্বক আর্দ্রতা হারাবে দ্রুত। যদি বুঝতে পারেন মুখের ভেতরটা ও ত্বক ঘন ঘন শুকিয়ে আসছে তবে সতর্ক হতে হবে।
ঝাপসা দৃষ্টি
কারও কারও ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে তরলের ভারসাম্যহীনতা দেখা গেলে হঠাৎ হঠাৎ চোখের লেন্স সামান্য ফুলে উঠতে পারে। তখনই দৃষ্টি হয়ে আসতে পারে ঝাপসা।
সংক্রমণ
আঙুলের ফাঁকে কিংবা শরীরের এমন সব স্থান—যেখানে আলো-বাতাস কম পৌঁছায়, সেখানে ইস্ট তথা এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিলেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো জরুরি। কারণ ইস্টের খাবারই হচ্ছে চিনি। আর শরীরে সুগার বাড়লে ছত্রাকগুলো খাবার পায়। যে কারণে সংক্রমণ সহজে সারতে চায় না।
ক্ষত সারতে দেরি
রক্তে চিনি বেড়ে গেলে তা রক্ত সরবরাহে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে কিছু নার্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে সহজে কোনও ক্ষত সারবে না। তাই কোথাও কেটে গেলে যদি সহজে না সারে তবে সেটাকেও ডায়াবেটিসের আগাম লক্ষণ ধরে নিতে পারেন। একই কারণে পায়ের মাংসপেশী ও পায়ের পাতায় ব্যথা হতে পারে।
সূত্র: ওয়েব এমডি
Discussion about this post