হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। দৈনিক শনাক্তের হার গত কয়েকদিন ধরে তিন শতাংশের নিচে আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে ফাঁকা শয্যার সংখ্যা বাড়ছে। ব্যতিক্রম নয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। এ অবস্থার হাসপাতালের বন্ধ হওয়া একাধিক বিভাগ ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কিছু বিভাগ চালু হয়েছে আর করোনা ইউনিট রেখেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া বাকিগুলো চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা ইউনিটের অধিকাংশ শয্যা ফাঁকা। নতুন ভবনের পঞ্চম তলা পুরোটাই ফাঁকা করা হয়েছে। সেখানেই বন্ধ থাকা বিভাগগুলো চালু করা হচ্ছে। আবার পুরাতন ভবনে বেড়েছে রোগীর অনেক চাপ। ভর্তি দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। বহির্বিভাগেরও একই অবস্থা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন। সে সময় ভবনের একাধিক বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের নিচে চলে এসেছে। আর তাতে করে কয়েকটি বিভাগ নতুন করে চালু করা হয়েছে। করোনা ইউনিট রেখেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া বাকি বিভাগগুলো চালু করার চেষ্টা চলছে।
আবারো চালু করা বিভাগের মধ্যে রয়েছে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, কার্ডিয়াক সার্জারি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রাইনোলজি। এসব বিভাগে এখন রোগী ভর্তিও শুরু হয়েছে।
আশরাফুল আলম বলেন, পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে বাকি বন্ধ থাকা বিভাগগুলো চালু করা হবে।
চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫ জন। এদের মধ্যে নারী ৪০ জন পুরুষ ৩৫ জন। একই মাসে মোট ভর্তি হয়েছিল ১ হাজার ৬৫৫ জন আর সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৪২ জন। এ ছাড়া নিজ দায়িত্বে চলে গেছেন ৩০৮ জন। গত এক সপ্তাহে (৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট জন, তাদের মধ্যে নারী ছয় জন আর পুরুষ দুই জন।
Discussion about this post