হার্টবিট ডেস্ক
দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ দিয়েই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ভ্যাকসিন রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চলতি অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে দশ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা পিটিআই এই সংবাদ জানিয়েছে।
ভ্যাকসিন মৈত্রী কর্মসূচির আওতায় ভারতের পক্ষ থেকে নেপাল ও মিয়ানমারেও দশ লাখ ডোজ করে ভ্যাকসিন পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংবাদে।
পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড রফতানিরও অনুমতি পেয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে ভারতেই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী আরেক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেককে এ মাসে ইরানে ১০ লাখ ডোজ কোভ্যাক্সিন রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
এর আগে, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দেশে সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আনতে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশ সরকার, বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস বেক্সিমকো ও ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সিরামের সঙ্গে এই চুক্তি সই করা হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত ক্রয়চুক্তি সই করে সিরাম ইন্সটিটিউটের কাছে পাঠানো হয়।
কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসলেও সিরাম থেকে আর বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়নি। ফলে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে নি বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ভ্যাকসিনের সংকট কাটতে শুরু করে। চীন থেকে ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। একই সঙ্গে রাশিয়া থেকেও ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। চীন সরকারের উপহার হিসেবে এবং দেশটি থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ভ্যাকসিন আসছে বাংলাদেশে।
Discussion about this post