হার্টবিট ডেস্ক
কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলছে শিশু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আধুনিক সদর হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে শতাধিক শিশু। ৪৫ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই শতাধিক শিশু। এ অবস্থায় সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডা এমন আবহাওয়ায় বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংকটে পড়ে অভিভাবকরা অধিকাংশ শিশু রোগীদের নিয়ে অবস্থান করছে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা কিংবা মেঝেতে বসে।
৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর চাপে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছেন সেবা নিতে। জেলার পাঁচ উপজেলাসহ আশপাশের জেলা পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের কিছু অংশের রোগীরা সেবা নিতে আসায় এ পরিস্থিতি। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ স্বজন ও অভিভাবকদের।
পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে সন্তানকে সেবা নিতে আসা শিশুর অভিভাবক আব্দুর রহিম, স্বপন কুমার ও রুহুল আমিন জানান, পঞ্চগড়ে ভালো চিকিৎসক না থাকা ও বীরগঞ্জ থেকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল কাছে হওয়ায় ছুটে আসা। কিন্তু বর্তমানে এই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা করুন। শয্যা সংকটে পরে মেঝে কিংবা বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ পেলেও বাকি ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাহির থেকে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালে পাঁ ফেলানোর জায়গা নেই। হাসপাতালটিতে শয্যা বাড়ানো জরুরি হয়ে পরেছে। পাশাপাশি চিকিৎসার মান উন্নত করা প্রয়োজন। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হতেই থাকবে সেবা নিতে আসা রোগীরা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শাহজাহান নেওয়াজ রোগীর চাপের কথা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নতি হলেও জনবল দেয়া হয়নি। ফলে অতিরিক্ত চাপে পরে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেবার মান বাড়াতে হলে জনবল প্রয়োজন। তারপরেও আমার আমাদের সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। শিশুদের বাইরে কম বের হতে দিতে হবে। শরীর ঘেমে গেলে পরনের কাপড় পরিবর্তন করে দিতে হবে। সেই সাথে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও রোগমুক্ত থাকবে।
বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় ৮৬, ডায়রিয়ায় ২৬ সহ দুই শতাধিক শিশু ভর্তি আছে।
Discussion about this post