দুর্গম পাহাড়েও পৌঁছে গেলো করোনার টিকা

হার্টবিট ডেস্ক    

করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম রয়েছে এই হেলিকপ্টরে। 

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে রওনা হওয়া ওই টিমে সেনাবাহিনীর তিনজন মেডিক্যাল সদস্যও রয়েছেন। 

স্বাস্থ্য বিভাগের এই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা। 

বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা যায়, এইবার দুগর্ম বড়থলি ইউনিয়নের রাইখ্যং লেক সংলগ্ন পুকুরপাড়া এলাকায় গণটিকার আওতায় সিনোফার্মের ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা জানান, আমরা ১৫শ ডোজ টিকা নিয়ে যাচ্ছি। যথারীতি টিকাদানের পাশাপাশি মোবাইল মেডিকেল ক্যাম্পের আওতায় ঐ অঞ্চলের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে। 

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নের বড়থলি পাড়ায় গত ১০ আগস্ট গণটিকার প্রথম ডোজ এবং গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সমগ্র ইউনিয়নকে টিকা দানের আওতায় আনার জন্য ইউনিয়নের অপর প্রান্ত অনিন্দ্য সুন্দর রাইখ্যং লেক সংলগ্ন পুকুর পাড়ায় আজ গণটিকার প্রথম ডোজ প্রদান করবো। 

এই টিকা কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন এবং বিমান বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 

উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে দূর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে বিলাইছড়ি উপজেলা হতে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে যেতে কমপক্ষে লাগবে চারদিন। আর বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক হতে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে কমপক্ষে দুইদিন।