হার্টবিট ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে রাজধানীর বাইরে ১৯টি জেলা ও ১০টি সিটি করপোরেশনে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ফাইজার বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে শিগগিরই এই কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে ফিরে আসার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এতদিন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সাতটি কেন্দ্রে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হলেও এবার এর পরিধি বাড়ছে। রাজধানীর বাইরে ১০টি সিটি করপোরেশনে এবার ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সিটি করপোরেশনগুলি হলো— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, খুলনা সিটি করপোরেশন, বরিশাল সিটি করপোরেশন, রংপুর সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সূত্রে জানা যায়, ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগে মূল চ্যালেঞ্জ হলো এর রক্ষণাবেক্ষণ। ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই ভ্যাকসিন কেন্দ্রে পৌঁছানোর পরে প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রাও। বর্তমানে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পরে রাজধানীর বাইরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৭৮ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার সক্ষমতা আছে। এর বিপরীতে বর্তমানে প্রায় ৪৯ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। আরও ভ্যাকসিন দেশে আসার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রবাসী ছাড়াও যেসব কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেখানে যারা নিবন্ধন করেছে তারাও ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে পারবে বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সূত্রে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ১ জুলাই থেকে ফাইজারের ভ্যাকসিন রাজধানীতেই দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এবার ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায় দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে। যে গতিতে ভ্যাকসিন আসছে তাতে করে সংরক্ষণের কোনো সমস্যা আমাদের হবে না। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণে আমরা ২৬টি আলট্রা লো ফ্রিজার পেয়েছি। সামনে আরও ভ্যাকসিন আসবে।
Discussion about this post