হার্টবিট ডেস্ক
প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি পড়তে শুরু করলেই শুরু হয় টেনশন। চুল পড়ার সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বংশগত , শারীরিক সমস্যা কিংবা আমাদের কিছু ভুলের কারণে পড়তে পারে চুল।
যে ভুলে চুল পড়ে
- সময়ের অভাবে নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর কথা ভুলে যায় অনেকে। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ-দশ মিনিট চুল ভালোভাবে আঁচড়ানো দরকার। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ে। চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে।
- যাদের চুল লম্বা তারা ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে না ঘুমালে আগা ফেটে ভাঙতে শুরু করে।
- নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও অতিরিক্ত খুশকির কারণেও চুল পড়ে।
- জন্ডিস, টাইফয়েড, জ্বর বা অন্যান্য তীব্র জ্বরের পরও অনেকের চুল পড়ে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও দেখা গেছে অনেকের চুল পড়ে যাচ্ছে।
- চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ব্লিচিং ও ডাই চুলের ক্ষতি করে।
- অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান ও ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত ডায়েটও চুল পড়ার বড় কারণ।
- অতিরিক্ত কাজের চাপেও চুল পড়ে।
- থাইরয়েডিজমের ফলেও চুল পড়তে পারে। শরীরে হরমোনের পরিমাণ কমবেশি হলে চুল উঠবে।
- আমারা অনেকেই ভেজা চুল আঁচড়াই। চুল যখন ভেজা থাকে তখন চুলের গোড়া নরম থাকে। ওই অবস্থায় আঁচড়ালেও চুল পড়বে।
- অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণও এর জন্য দায়ী।
- রক্তশূন্যতা, পুষ্টিহীনতার কারণেও চুল পড়ে।
- নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজের পর অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন বেড়ে গিয়েও চুল পড়া শুরু হয়। পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার কারণও হরমোনের আধিক্য।
- স্কাল্পে ছত্রাকের সংক্রমণে চুল পড়ে।
- বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রনের অভাব।
প্রতিকার
- চুল পড়া বা টাক হয়ে যাওয়াটা বংশগত হয়ে থাকলে কিছু করার থাকে না। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়ত রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে। আবার ভিটামিন এ-এর পরিমাণ, আয়রন, থাইরয়েড এসব পরীক্ষাও করা হয়। এর বাইরে যেসব করতে হবে-
- নিয়মিত সময় নিয়ে চুল আঁচড়ানো।
- সপ্তাহে দুই-তিনবার শ্যাম্পু করা। শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চুলে তেল মেখে রাখা ভালো।
- ভেজা চুল না আঁচড়ানো।
- ব্লিচিং বা ডাই বেশি না করা।
- চুলের আগা ফেটে গেলে ছেঁটে ফেলা।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ডায়েট করার আগে একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া।
- চিন্তামুক্ত থাকা।
- পেঁয়াজের রস মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারি। এতে মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ কমবে।
- মেহেদি পাতা বেটে মাথায় লাগানো যেতে পারে। এতেও চুলের গোড়া মজবুত হয়।
- অ্যালোভেরাও চুলের জন্য বেশ কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল মেখে ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- মসুর ডাল বেটে মাথায় লাগালেও মাথার ত্বক ভালো থাকে।
- মেহেদি বাটা, পেঁয়াজের রস, নিমপাতা বাটা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে ৩০-৪০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে খুশকি দূর হয়।
Discussion about this post