হার্টবিট ডেস্ক
করোনা মহামারী ঠেকাতে শিগগিরই বাজারে আসছে ট্যাবলেট। মুখে খাওয়া এ ওষুধ হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে আনবে, বলছেন গবেষকরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় এমন তথ্য। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের মোলনুপিরাভির ওষুধ গবেষণার শীর্ষে রয়েছে বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের উদ্ভাবিত এ ট্যাবলেট সম্ভবত করোনার মুখে খাওয়া ওষুধের প্রথম হিসেবে স্বীকৃতি পাবে যদি দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) অনুমোদন দেয়।
গবেষকরা দাবি করছেন এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষ যত শিগগিরই সম্ভব এফডিএ-র সঙ্গে কথা বলবে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা পরিকল্পনা করছি অন্য দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুমোদনের জন্য।
ডেভিস বলেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।মলনুপিরাভিরই বিশ্বে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ওষুধ, যেটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভাইরাসের প্রজনন ক্ষমতা অকার্যকর করতেও সক্ষম।
মোলনুপিরাভির হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছেন এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আগামী নভেম্বরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডেভিস। গবেষণা শেষে স্বাধীন কমিটির অনুমোদনের পর এবং এফডিএর সঙ্গে সমন্বয় করে এটি বাজারে আনার কথাও জানান তিনি।
ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আগস্টের শুরু থেকে ৭৭৫ জন রোগীর ওপর এ গবেষণাটি চালানো হচ্ছে। ডেভিস আরও বলেন, এটি অধিকতর গবেষণার জন্য আরও ১৫৫০ জনকে অন্তর্ভূক্ত করতে চায় এবং এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ রাজি হয়েছেন।
বিবৃতিতে ডেভিস বলেন, বছর শেষে এক কোটি উৎপাদন করতে আশাবাদী তারা, যেটি ২০২২ সালে আরও বাড়বে। সপ্তাহের শুরুতে মেরেক গবেষণার আরও তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে দাবি করে যে, এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও কার্যকর।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, সিএনএন
Discussion about this post