হার্টবিট ডেস্ক
সময় যত আগাচ্ছে আমরাও ততটা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছি। করোনা মহামারির সময়ে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভরতা আরও অনেক বেড়েছে। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ব্যবহার বেড়েছে অনেক পরিমাণে।
অনেককেই কর্মস্থলে কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়। আর সে কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার মনিটরের সামনে পড়ে থাকতে হয়। অনেকের কাছে এটা পেশা আবার কারও কাছে এটা নেশা।
একটানা এই মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমাদের চোখের ওপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। দীর্ঘমেয়াদী চোখের সমস্যা হতে পারে।
চোখের এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখলেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। তো আসুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলি:
চোখের ব্যায়াম:
কম্পিউটার চালানোর ক্ষেত্রে আমাদের চোখের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ২০-২০-২০ নামে একটি অভ্যাস রয়েছে, এর মানে হচ্ছে প্রত্যেক ২০ মিনিট পরে মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফুট দূরে অবস্থিত কোন জিনিসের দিকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য নজর সরাতে হবে। এতে মনিটরের দিকে এক নাগারে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে যে ব্যথা বা খচখচ অনুভূতি, সেটা দূর হয়ে যাবে।
চোখে চশমা ব্যবহার করা:
মনিটরের নীল আলো থেকে বাঁচতে চোখে চশমা ব্যবহার করতে পারেন, এতে নীল আলো চোখের খুব ক্ষতি করতে পারবে না। আর হ্যাঁ, মনিটরের আলোর লেভেল কমিয়ে চোখের সহনীয় লেভেলে সেট করে রাখা ভালো। অত্যন্ত ব্রাইটনেস মনিটর থেকে চোখ ব্যাথা হয়ে যেতে পারে।
নাইট লাইট মুড:
উইন্ডোজ ১০ এর নাইট লাইট ফিচার ইউজ করে মনিটরের আলো চোখের জন্য সহনীয় করা যেতে পারে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলেও আপনার চোখের ক্ষতি হওয়া কমতে পারে।
মনিটর সেটআপ:
মোটামুটি এতটা দূরত্বে আপনার মনিটরটি সেট করুন, যাতে সেটা আপনার চোখ থেকে ৪০-৭৫ সেন্টিমিটার দূরে থাকে। তবে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করবেন, আপনি মনিটরের লেখা গুলো যাতে পরিষ্কার দেখতে পান, না হলে চোখের উপর বেশি চাপ পড়বে।
চোখ ঝাঁপকানো:
নিয়মিত চোখ ঝাঁপকালে চোখ ভেজা থাকতে পারে, এতে চোখের ক্ষতি কমে যায়। এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুকিয়ে যায়, যেটা অনেকটা ক্ষতির ব্যাপার।
Discussion about this post