হার্টবিট ডেস্ক
আজ ( ২৮ সেপ্টেম্বর ) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় দুই সহস্রাধিক। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ২০০ জনে নেমেছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ জন (সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)।
বাংলাদেশে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির অভূতপূর্ব অগ্রগতি জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বন্ধুর পথে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। এ সফলতা শুধু এ দেশেই নয় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও উচ্ছ্বসিতভাবে প্রশংসিত। এ বাস্তবতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র্যাবিস দিবস। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২২টি দেশে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’।
বিজ্ঞানী লুই পাস্তর ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এই মহান বিজ্ঞানী মৃত্যুর পূর্বে জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন। তার এই অবদানকে পৃথিবীর বুকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে এবং এ রোগের ভয়াবহতা অনুধাবন করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
এ দিবসকে সামনে রেখে সরকার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, মুক্ত আলোচনা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জলাতঙ্ক বা র্যাবিস ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। র্যাবিস ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কুকুর রোগটির প্রধান বাহক। এছাড়াও অন্যান্য প্রাণী যেমন বিড়াল, শেয়াল, বেজি, বানরও রোগটি ছড়াতে পারে।
রোগের লক্ষণ একবার প্রকাশ পেলে মৃত্যু নিশ্চিত। তবে সময়মত অর্থাৎ কামড় বা আঁচড়ের সাথে সাথে আক্রান্ত স্থান সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণের মাধ্যমে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে উষ্ণমণ্ডলীয় অবহেলিত রোগগুলোর মধ্যে জলাতঙ্ক অন্যতম ।কারণ এ রোগে সাধারণত গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও শিশুরা সর্বাধিক আক্রান্ত হয়। তাদের অজ্ঞতার জন্য তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। অনেকসময় সঠিক নিয়মে চিকিৎসার অভাবে তারা মৃত্যুবরণও করে থাকে।
Discussion about this post